তেহরান ছাড়তে ট্রাম্পের নির্দেশের পরই ভয়াবহ বিস্ফোরণ

তেহরানের বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো শহর
তেহরানের বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো শহর  © সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তেহরানবাসীদের শহর ছাড়ার নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের রাজধানী তেহরানে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো শহর।

সোমবার (১৬ জুন) কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার সময় ট্রাম্প নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক বিবৃতিতে তেহরানের নাগরিকদের ‘অতি দ্রুত’ শহর ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্রের অধিকার পাবে না।’

হোয়াইট হাউজ সূত্রে জানা গেছে, কানাডা সফরের সময় ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যের চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কানাডায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইরানকে ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসার জন্য। কিন্তু সেই সময়সীমা অতিক্রম করতেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা

তিনি বলেন, ‘৬১তম দিনে কী ঘটেছে, তা বিশ্ববাসী দেখছে। আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েল ও ইরান খুব শিগগিরই সমঝোতায় পৌঁছাবে। চুক্তি না করলে ইরান যে বড় ধরনের ভুল করবে, তা তারা জানে।’

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একদিকে যেমন ইরানকে ভয় দেখিয়ে চাপ প্রয়োগ করছেন, অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে সম্ভাব্য সমর্থন জানিয়ে কৌশলগত অবস্থান শক্ত করছেন। তেহরানের নাগরিকদের সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে ইরানকে একরকম দ্বিধার মধ্যে ফেলাই তার কৌশল বলে মনে করছেন অনেকে।

অন্যদিকে ইরানি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণ ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মন্তব্য বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে আন্তর্জাতিক মহল গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এই পরিস্থিতি, যা আরও বড় সংঘাতের ইঙ্গিত দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ