দেশের স্থিতিশীলতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং নাগরিকের অধিকার রক্ষা করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইন ও আদালত। বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থা বিভিন্ন যুগের প্রভাবের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে। ব্রিটিশ শাসনের সময় প্রবর্তিত সাধারণ আইন, মুসলিম আইন ও হিন্দু আইন ইত্যাদি আধুনিক বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ভিত্তি স্থাপন করেছে। মুসলিম পরিবার আইন, হিন্দু আইন ও অন্যান্য ব্যক্তিগত আইন এখনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। তবে সর্বশেষ বিধিবদ্ধ ও প্রয়োগযোগ্য আইন হলো বাংলাদেশী আইন, এটি সংবিধান, সংসদীয় আইন, আদালতের রায় এবং প্রশাসনিক বিধিমালা থেকে উদ্ভূত।
বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালে প্রণীত হয়, এটি দেশের সর্বোচ্চ আইন হিসেবে নাগরিকের মৌলিক অধিকার, রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। সংবিধানের আলোকে বিচার ব্যবস্থা পরিচালিত হয়। দেশে বিভিন্ন পর্যায়ের আদালত আছে। সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রীম কোর্ট, যার অংশ হলো আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ। তাছাড়া জেলা, মহানগর ও উপজেলাভিত্তিক আদালত, বিশেষায়িত ট্রাইব্যুনাল এবং প্রশাসনিক আদালতগুলো দেশের ন্যায়বিচারের কাঠামোর অংশ।
বাংলাদেশে বিচার প্রক্রিয়ায় ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা প্রায়ই প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। যার ফলে অতীত ও বর্তমান ঘটনাবলী বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, সুষ্ঠু রায় এবং আদালতের স্বাধীনতার গুরুত্বকে আরও প্রমাণ করে। বিচারক ও আইনজীবীর ভূমিকা, মামলার সুষ্ঠু অনুসন্ধান, জেল-জুলুম রোধ, এবং নাগরিকের অধিকার রক্ষা—এসবই কার্যকর আইন প্রয়োগের মূল মাপকাঠি।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের ‘আইন ও আদালত’ বিভাগ বিষয়টি পাঠকের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নিয়মিতভাবে আইন, আদালত, বিচার ব্যবস্থার পরিবর্তন, গুরুত্বপূর্ণ রায়, মামলা, আইনি বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি শিক্ষার্থী, গবেষক, সাংবাদিক এবং সাধারণ পাঠকের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য তথ্য ও বিশ্লেষণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
সংক্ষেপে, আইন ও আদালত একটি দেশের শাসনব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নাগরিকের বিশ্বাসের মূল স্তম্ভ। বাংলাদেশের আইনি কাঠামো ও সংবিধানের আলোকে সঠিকভাবে বিচারপ্রক্রিয়া কার্যকর করা এবং নাগরিকের অধিকার রক্ষা করাই হলো আমাদের আইনের লক্ষ্য। ‘আইন ও আদালত’ বিভাগ পাঠককে এসব বিষয়ে সচেতন করে, বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।