বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে সার্টিফিকেট সত্যায়ন: ধাপে ধাপে গাইডলাইন

উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে কাগজপত্র সত্যায়ন করতে হবে আগে থেকেই
উচ্চশিক্ষায় বিদেশে যেতে কাগজপত্র সত্যায়ন করতে হবে আগে থেকেই  © সংগৃহীত

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট সত্যায়ন করা একটি আবশ্যিক প্রক্রিয়া। এ সত্যায়ন প্রক্রিয়াটি এখন সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে করা যাচ্ছে, ফলে আর যেতে হচ্ছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সরকারের উদ্যোগে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে এই ডিজিটাল সেবা, যা পরিচালিত হচ্ছে মাইগভ (MyGov) প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র—

*জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অথবা অনলাইনে নিবন্ধিত জন্মসনদ; 

*শিক্ষাগত যোগ্যতার স্ক্যান করা সনদপত্র ও ট্রান্সক্রিপ্ট (JPEG, JPG অথবা PNG ফরম্যাটে); 

*প্রতিটি ফাইলের সাইজ হতে হবে ১ এমবির মধ্যে;

পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনভিত্তিক বলে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় নথিগুলো স্ক্যান করে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করুন।

আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: সাশ্রয়ী খরচ ও সহজে ভিসা সুবিধা প্রাপ্তিতে আদর্শ ৮ দেশ

২. ধাপে ধাপে আবেদনপ্রক্রিয়া—

২.১ মাইগভ-এ অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন;

*ভিজিট করুন: https://mygov.bd ঠিকানায়;

*নাম, মোবাইল নম্বর/ই-মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন;

*একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন;

২.২ প্রোফাইল যাচাইকরণ

*এনআইডি বা জন্মসনদের নম্বর ও জন্মসাল দিয়ে প্রোফাইল যাচাই করতে হবে;

*একটি এনআইডি দিয়ে কেবল একটি অ্যাকাউন্ট যাচাই করা যাবে;

২.৩ সঠিক আবেদন খুঁজে বের করুন

*হোমপেজে ‘বিদেশগামী নাগরিকদের সার্টিফিকেট সত্যায়ন’ সেবা নির্বাচন করুন;

*প্রয়োজনীয় আবেদন অপশন বেছে নিন;

*চাইলে সার্চবক্সে নথির নাম লিখে বা ভয়েস কমান্ড দিয়েও খুঁজে নিতে পারেন;

২.৪ আবেদন ফরম পূরণ

*লাল তারকাচিহ্নিত ঘরগুলো অবশ্যই পূরণ করতে হবে;

*একাধিক নথি যুক্ত করতে চাইলে (+) বাটনে ক্লিক করুন;

*আবেদন একবারে না করে ড্রাফট হিসেবেও সংরক্ষণ করা যাবে;

২.৫ নথিপত্র আপলোড করুন

*নির্ধারিত ফরম্যাটে (JPEG/JPG/PNG) স্ক্যান করা ফাইল আপলোড করুন;

*ফাইল সম্পূর্ণ আপলোড না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী ধাপে যাওয়া যাবে না;

*চাইলে আগে থেকেই সব নথি প্রোফাইলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন;

২.৬ আবেদন ফি প্রদান

*কিছু সেবা বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে, আবার কিছু সেবার জন্য নির্ধারিত ফি রয়েছে;

*ফি প্রদান করা যাবে যেসব মাধ্যমে—

> অনলাইন ব্যাংকিং

> কার্ড পেমেন্ট

> মোবাইল ওয়ালেট (বিকাশ, নগদ ইত্যাদি);

আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: জেনে নিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুল-ফ্রি ১৬ স্কলারশিপ সম্পর্কে

৩. আবেদন ট্র্যাকিং ও ফলাফল—

*আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি ট্র্যাকিং নম্বর পাবেন;

*এই নম্বর ব্যবহার করে ‘সেবা ব্যবস্থাপনা’ অপশন থেকে আবেদনের অগ্রগতি দেখা যাবে;

*নির্ধারিত কার্যদিবস শেষে সত্যায়িত নথি ব্যক্তিগত ড্যাশবোর্ডে প্রদর্শিত হবে;

*সেখান থেকেই ডাউনলোড করা যাবে;

৪. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—

*একটি এনআইডি দিয়ে শুধু একটি মাইগভ অ্যাকাউন্ট যাচাই করা সম্ভব;

*আবেদনের প্রতিটি ধাপ সতর্কতার সঙ্গে শেষ করুন;

*প্রোফাইল যাচাই সঠিকভাবে না হলে আবেদন জমা দেওয়া সম্ভব নয়।


সর্বশেষ সংবাদ