বহিষ্কারের পরও ওয়েবসাইটে রয়ে গেছেন ইবির সমকামী শিক্ষক হাফিজ
- ইবি প্রদায়ক
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৫, ০৬:১০ PM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:০১ AM
শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও সমকামিতাসহ নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে চাকরিচ্যুত করা হয়। গত ৩১ মে সিন্ডিকেটের ২৬৮তম (সাধারণ) সভার ৭ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বহিষ্কারের দুই মাস পরও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এখনো সরানো হয়নি হাফিজের নাম-পরিচয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রিপোর্ট প্রকাশের আগমুহূর্ত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজের নাম। ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দেখা যায় বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকের মতো বহিষ্কৃত এই শিক্ষকের ছবি ও নাম-পরিচয় এখনো দৃশ্যমান।
এ বিষয়ে বিভাগটির ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দীন বলেন, যে শিক্ষককে প্রশাসন গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। তার নাম ও পদবি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে থাকা দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। এটি শুধু প্রশাসনিক অবহেলা নয়, বরং শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সমাজের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় সত্য ও ন্যায়ের প্রতীক হওয়ার কথা। তাই অবিলম্বে এ তথ্য সংশোধন করে স্বচ্ছতা ও সুনামের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক ড. শাহজাহান আলীকে একাধিকবার কল দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে একই সেলের সিস্টেম অ্যানালিস্ট ড. নাঈম মোরশেদকে একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তিনিও কল রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন: আল্টিমেটাম এক মাসের, দাবি না মানলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৫ সেপ্টেম্বর পূর্ণ কর্মবিরতি
উল্লেখ্য, হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, ব্যক্তিগত রুমে নিয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে নির্যাতন, ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা, ছাত্রদের জোরপূর্বক সমকামিতায় বাধ্য করা, কথা না শুনলে মার্কস কম দেওয়া, মেয়েদের ব্যক্তিগত নম্বরে কল দিয়ে বিরক্ত করা, ফেক আইডি দিয়ে বিভিন্ন ছাত্রীর সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ কথোপকথনসহ নানা গুরুতর অভিযোগ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ, প্রধান ফটকে তালা ও কুশপুত্তলিকা দাহ করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।