বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা তামিমের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১১:০৯ AM , আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২৮ PM
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আসার গুঞ্জন অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের নাম। এতদিন বিষয়টি স্পষ্ট না করলেও অবশেষে বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন দেশের এই সাবেক তারকা ওপেনার। প্রথমে পরিচালক হিসেবে প্রার্থী হবেন তিনি, এরপর সভাপতির পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।
দেশের এক শীর্ষ গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য নিশ্চিত করে তামিম ইকবাল বলেন, ‘কেউ আগেভাগে বলতে পারে না যে তিনি সভাপতি হবেন। আমি নিজেও অনেক কিছু দেখি ও শুনি। কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো আমি বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেব কি না। যদি ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) কথা বলি, সেখানে সরাসরি সভাপতি পদে ভোট হয়। কিন্তু বিসিবি আলাদা। এখানে প্রথমে পরিচালক হতে হয়।’
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, তিন ক্যাটাগরিতে পরিচালক নির্বাচিত হন। মোট ২৫ সদস্যের বোর্ডে—ঢাকাভিত্তিক ক্লাব (ক্যাটাগরি-১) থেকে ৭৬ জন কাউন্সিলরের ভোটে ১২ জন পরিচালক নির্বাচিত হন। আঞ্চলিক ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি (ক্যাটাগরি-২) থেকে ৮ বিভাগ ও ৬৪ জেলার কাউন্সিলরের ভোটে নির্বাচিত হন ১০ জন পরিচালক। ক্যাটাগরি-৩ থেকে একজন পরিচালক আসেন ‘অন্যান্য প্রতিনিধি’ কোটায়। এছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) মনোনীত করে ২ পরিচালক। এরপর নির্বাচিত পরিচালকরা ভোট দিয়ে সভাপতি নির্বাচন করেন।
এই প্রক্রিয়াতেই এগোতে চান তামিম। তিনি বলেন, ‘যদি দু’জন সভাপতি প্রার্থী হন, তবে পরিচালকরা ভোট দিয়ে সভাপতি বেছে নেন। তাই যদি প্রশ্ন করেন নির্বাচনে অংশ নেব কি না, আমার বলার মতো যথেষ্ট কারণ আছে। এবার আমি পরিচালক পদে নির্বাচন করছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসতে হবে। আমার বিশ্বাস, যদি আমি বোর্ডে আসি তবে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। এখনই বলা বোকামি হবে যে আমি সভাপতি হতে চাই। যদি দেখি পর্যাপ্ত সমর্থন আছে, তখন বিবেচনা করব।’
এ জন্য প্রস্তুতিও অনেক আগেই শুরু করেছেন তামিম। তিনি ইতোমধ্যে দুটি ক্লাবে সংগঠক হিসেবে বিনিয়োগ করেছেন। এর যেকোনো একটির কাউন্সিলর হিসেবেও পরিচালক নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে তার। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘সবাই বলে ক্রিকেটে রাজনীতি থাকা উচিত নয়। কিন্তু আসলে কী হচ্ছে? একে অপরকে আক্রমণ, গুজব ছড়ানো—এসবই চলছে। অথচ আসল আলোচনা হচ্ছে না, কে ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রার্থী। অনেকেই পরিচালক হতে চান, কিন্তু আসল মনোযোগ দেওয়া উচিত কারা আসলেই যোগ্য।’
উল্লেখ্য, সর্বশেষ বিসিবি নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর। পরদিনই গঠিত কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে নতুন নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এর অন্তত ৩০ দিন আগে সভাপতির নির্দেশে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাউন্সিলর মনোনয়নের নোটিশ দেবেন। এরপর নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা প্রস্তুত, সময়সূচি ঘোষণা এবং নির্বাচনের নিয়ম চূড়ান্তসহ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।