এক্স-কে ১৪০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা, সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৩ AM
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-কে (সাবেক টুইটার) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রকদের আরোপিত ১৪০ মিলিয়ন ডলারের বড় অঙ্কের জরিমানাকে ‘একটি জঘন্য সিদ্ধান্ত’ আখ্যা দিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ইউরোপ ‘ভুল পথে হাঁটছে’ এবং তিনি বুঝতে পারছেন না, ইইউ কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে মাস্ক এ বিষয়ে তার কাছে কোনো ধরনের সহায়তা চাননি বলেও ট্রাম্প নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প আরও জানান, জরিমানার বিষয়ে তিনি পুরো প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে পরে বিস্তারিত জানাবেন। একই সঙ্গে সতর্ক করে বলেন, ইউরোপকে এ বিষয়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে।
গত সপ্তাহে অনলাইন কনটেন্ট সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ইইউ এক্স-কে ১২০ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার) জরিমানা করে। জরিমানার খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইলন মাস্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের পোস্টের নিচে লেখেন, ‘Bullshit’ (নিতান্তই বাজে কথা)। পাশাপাশি বাকস্বাধীনতাকে গণতন্ত্রের ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আপনি কার জন্য ভোট দিচ্ছেন, তা জানার একমাত্র উপায় এটাই।’
আরও পড়ুন: উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে আর্জেন্টিনার দলকে রুখে দিল বাংলাদেশ
এ ঘটনায় মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ পদেও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশনের (এফসিসি) চেয়ারম্যান ব্রেন্ডান কার—দুজনই ইইউর এই পদক্ষেপকে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ওপর সরাসরি আক্রমণ হিসেবে আখ্যা দেন।
ইইউ নিয়ন্ত্রকদের অভিযোগ, এক্স স্বচ্ছতার বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। গবেষকদের জন্য পাবলিক ডেটা অ্যাক্সেস অস্বীকার করা, বিজ্ঞাপন ভাণ্ডার অসম্পূর্ণ রাখা এবং নীল টিক যাচাইকরণে বিভ্রান্তিকর ডিজাইন ব্যবহারের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে প্ল্যাটফর্মটির বিরুদ্ধে।
তবে ইইউর প্রযুক্তি প্রধান হেন্না ভির্কুনেন জরিমানার পক্ষে কঠোর অবস্থান ধরে রেখে বলেন, জরিমানার পরিমাণ সম্পূর্ণ আনুপাতিক এবং ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)-এর সঙ্গে ‘সেন্সরশিপের কোনো সম্পর্ক নেই।’ ইউরোপীয় কমিশনও জানায়, এই আইন কোনো নির্দিষ্ট জাতি বা কোম্পানিকে লক্ষ্য করে করা হয়নি; এর উদ্দেশ্য ডিজিটাল ও গণতান্ত্রিক মান বজায় রাখা।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে একই ধরনের অভিযোগে টিকটকের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়। তবে বিজ্ঞাপন লাইব্রেরি উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তারা জরিমানার মুখে না পড়েই রেহাই পায়। সূত্র: রয়টার্স