কাউকে আর আশ্রয় দেবে না যুক্তরাষ্ট্র
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ AM
অভিবাসন কঠোর করতে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়াও বন্ধ করে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটিতে আশ্রয় নিতে চাওয়ার আবেদন নিষ্পত্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার প্রশাসনের অভিবাসন বিভাগের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের গুলিবর্ষণের ঘটনার জের ধরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা (ইউএসসিআইএস) দপ্তরের পরিচালক জোসেফ এডলো গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, যতক্ষণ না ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রত্যেক বিদেশি নাগরিককে (যারা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থী) সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাচাই বাছাই করা যায়, ততক্ষণ আশ্রয় সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। কাউকে আর আশ্রয় দেবে না।
গত বুধবার ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আফগানিস্তানের এক নাগরিক। এ ঘটনায় একজন মারা গেছেন, আরেকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। এরপর ওই আফগানের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা জানিয়েছেন ওয়াশিংটন ডিসির অ্যাটর্নি। আর ওই ঘটনার তদন্তকারীরা এখনো হামলার উদ্দেশ্য খুঁজছেন।
হয়েছে বলে অ্যাটর্নি জিনিন পিরোর কার্যালয় জানায়, অভিযুক্ত ২৯ বছর বয়সী আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাকানওয়ালের বিরুদ্ধে এখন প্রথম- ডিগ্রি হত্যার একটি ও অস্ত্রসহ হত্যাচেষ্টাসংক্রান্ত দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। লাকানওয়াল আফগান যুদ্ধে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর হয়ে কাজ করেছিলেন।
কর্তৃপক্ষ জানায়, লাকানওয়াল ২০২১ সালে ‘অপারেশন অ্যালাইস ওয়েলকাম’ কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। জো বাইডেন প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের পুনর্বাসনে এ কর্মসূচি চালু করেছিল। লাকানওয়াল আশ্রয়ের জন্য বাইডেনের সময় আবেদন করলেও তর আশ্রয় মঞ্জুর হয় ট্রাম্প প্রশাসনের সময়।
আরও কঠোর হতে পারেন ট্রাম্প
ট্রাম্প ওই গুলিবর্ষণের ঘটনাকে ‘ সন্ত্রাসী হামলা ' বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, তার পূর্বসূরি জো বাইডেন প্রশাসন আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়ে ‘ সমস্যা তৈরি করেছে। ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি দরিদ্র দেশগুলো থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে চান এবং কয়েক মিলিয়ন মানুষকে দেশ থেকে বহিষ্কার করতে চান।
গত বুধবার রাতে ট্রাম্প ঘোষণা করেন, বাইডেন প্রশাসনের উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রে আনা প্রায় ৭৬ হাজার আফগান শরণার্থীর বাছাইপ্রক্রিয়া আবারও তদন্ত করা উচিত। তাদের বড় অংশই আগে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দোভাষী ও অনুবাদক হিসেবে কর্মরত ব্যক্তি। এ কর্মসূচি নিয়ে ট্রাম্পসহ আরও অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে এ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ফাঁকফোকর ছিল।
তবে মানবাধিকারকর্মীরা ক্ষেত্রে বলছেন, যাচাই প্রক্রিয়া যথেষ্ট কঠোর ছিল এবং ওই কর্মসূচি তালেবানের সম্ভাব্য প্রতিশোধ গ্রহণের ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের জন্য এক বড় সহায়তা। এর একটি অংশ এসেছে ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদনে।