মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে পাশ কাটিয়ে ইবির নিয়োগ বোর্ডে যবিপ্রবি ট্রেজারার! 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে পাশ কাটিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্স ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে সদস্য হিসেবে উপস্থিত হচ্ছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. হোসেইন আল মামুন। 

আগামীকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আই.আই.ই.আর (ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক এডুকেশন এন্ড রিসার্স) এর ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক পদে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। 

ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক এ্যাডুকেশন এন্ড রিসার্স (IIER) এর ২য় সংবিধি (চ্যান্সেলর কর্তৃক অনুমোদিত ২ অক্টোবর-১৯৮৩) ধারা ১১-১ (b) ধারা মোতাবেক ইংরেজী (প্রভাষক) পদের নিয়োগ নির্বাচনী এই বোর্ডে সভাপতি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এবং সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড জাহাঙ্গীর আলম, আই.আই.ই.আর’র বোর্ড অব গভর্ণরসের সদস্য আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, আই.আই.ই.আর’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান এবং যবিপ্রবি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হোসাইন আল মামুন রয়েছেন। 

তবে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট/একাডেমিক কাউন্সিল/শিক্ষক এবং কর্মকর্তা নিয়োগের বাছাই বোর্ডে সদস্য মনোনয়নের লক্ষ্যে অপর কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারারের নাম প্রস্তাব না করার জন্য নির্দেশনা জারি রয়েছে। বিগত ২৭ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ. এস. এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই নির্দেশনা জারি করা হয়।

এ ছাড়াও জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক অবস্থান করবেন মর্মে নিয়োগপত্রের শর্তাবলীতে উল্লেখ রয়েছে বিধায় আইনগতভাবে অপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর্যুক্ত কমিটি সমূহে সদস্য হিসেবে কাজ করার সুযোগ নেই বলে তাঁদের নাম প্রস্তাব করা সমীচীন নয়। উপর্যুক্ত কমিটি সমূহে ইতোমধ্যেই কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারারগণ মনোনীত হলে তদস্থলে অন্য শিক্ষকের নাম প্রস্তাব করার জন্যও নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।  

এমতাবস্থায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইবির আই.আই.ই.আর এ অনুষ্ঠিতব্য প্রভাষক নিয়োগ বোর্ডে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারারের উপস্থিত হওয়ার বিষয় টি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। 

জানতে চাইলে আই.আই.ই.আর’র বোর্ড অব গভর্ণরসের সদস্য অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, নিয়োগ বোর্ডে যবিপ্রবির ট্রেজারার মহোদয় আছেন বলে শুনেছি তবে আগামীকাল বোর্ড শুরু না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। আর সদস্য মনোনয়নের ব্যাপারে আমি বেশি কিছু জানিও না। ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় এব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন। 

এ বিষয়ে ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনার ব্যাপারে আমি ঠিক বলতে পারছি না। কমিটিতে কে থাকবেন না থাকবেন সেটা আমার এখতিয়ারের বাইরে। এমন হতে পারে যে, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারির আগেই এই কমিটি গুলো করে রাখা হয়েছিলো। এক্ষেত্রে এমন হয়েছে কিনা সেটা আমি এখনি বলতে পারবো না। বিষয় টা আমাকে দেখতে হবে।

জানতে চাইলে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হোসেইন আল মামুন বলেন, মন্ত্রণালয় কখনো বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিতে পারে না।  তারা চিঠিতে বলেছে যে এমন কাওকে না রাখলে ভালো হয়; তবে নানা কারণে এদেরকে রাখতে হয়। তবে আমাকে কীভাবে এই বোর্ডে রেখেছে সে ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো না। মন্ত্রণালয় তাদের গাইডলাইন দিয়েছে তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের উপরে কোন 'ল' নাই, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। এখানে ওই চিঠি ই সব না, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সিন্ডিকেট দিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তই সঠিক। 


সর্বশেষ সংবাদ