রাকসুর মনোনয়নপত্র উত্তোলনের সময় বাড়ল, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৫৬ PM , আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৫, ০২:১৬ AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের আজ শেষ দিন থাকলেও তা বাড়ানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী, সাবেক সমন্বয়ক ও রাবি শাখা ছাত্রশিবির। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৫টায় রাকসু কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
এ সময় তারা ‘সিন্ডিকেট না রাকসু? রাকসু রাকসু’, ‘রাকসু নিয়ে তালবাহানা চলবে না চলবে না’, ‘এক দফা এক দাবি ১৫ তারিখে রাকসু দিবি’, ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘রাকসু আমার অধিকার, না দিলে তুই স্বৈরাচার’ এসব স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে এজিএস পদপ্রার্থী ও সাবেক সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ‘কোনো অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে রাকসু নির্বাচন পেছানো যায় না। তিন দিন আগে মনোনয়ন তোলার তারিখ পেছানো হয়েছিল, আজও আবার তা করা হলো। তাহলে প্রশ্ন হলো— কোন কারণে, কাদের পুনর্বাসনের জন্য অথবা কোন দলকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই তারিখ পিছানো হচ্ছে? এর সঠিক জবাব না দেওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে সরব না।’
আরেক পদপ্রার্থী অনিক আহমেদ অভি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ ছাড়াই নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের জবাব চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখন মনে হচ্ছে, আমরা আর তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তফসিল অনুযায়ী আমরা ১৫ সেপ্টেম্বরেই নির্বাচন চাই।’
আরও পড়ুন: ডাকসুতে ভিপি পদে ৪৫, জিএস ১৯ ও এজিএস পদে ২৫ জন লড়বেন
এ সময় রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আজকে মননয়নের শেষ দিন ছিল কিন্তু এই সিডিউল বারবার করে পরিবর্তন করা হচ্ছে। আগে যে তফসিল দেওয়া হয়েছিল সেটা দুইবার পরিবর্তন করা হয়েছে। এভাবে তারিখ পরিবর্তন হতে থাকলে ১৫ তারিখ নির্বাচন হবে কিনা আমরা অনিশ্চিত। যদি তারিখ বাড়ানো দরকার থাকতো তাহলে সেটা আগে থেকে জানানো উচিত ছিল। কিন্তু শেষ সময়ে এসে হঠাৎ করে কোনো একটা দল বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তারা অযৌক্তিকভাবে ৫-৬ দিন সময় বাড়াল। এটা একেবারেই অযৌক্তিক। আমরা একটা সিদ্ধান্ত জানতে চাই।’
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণের সময়সীমা আমরা বাড়িতে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আবাসিক হলের পরিবর্তে ভোটকেন্দ্র হিসেবে অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোকে নির্বাচিত হয়েছে। এ ছাড়া ডোপ টেস্ট করা নিয়ে আমরা কিছু সমস্যায় পড়েছি। এটা একটা সময় সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আজকে আমাদের সারা দিন মিটিং হয়েছে, মিটিংটা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আমরা আগামীকাল মিটিং করে একটা সিদ্ধান্ত জানাব।’