৩য় দিনের মতো কর্মবিরতিতে সহকারী শিক্ষকেরা, সরকারের সাথে আলোচনার অপেক্ষায় নেতারা

চাকরির শুরুতে ১১তম বেতন গ্রেড নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বুধবার (২৮ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি চলছে। বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি।
পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ৩ দিন পর এই অচলাবস্থা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য তালিকা চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল ২৯ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন। তবে এই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সময় জানা যায়নি।
শিক্ষকরা বলেন, আমরা সরকারের সাথে আলোচনার অপেক্ষায় আছি। শিক্ষকরা দ্রুত এই অচলাবস্থা দূর করে শ্রেণিকক্ষে যেতে চায়। তবে তার আগে অবশ্য তাদের ৩ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি বাস্তবায়নের না হলে কর্মবিরতি চলতে থাকবে।
আন্দোলনকারী সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করা পরামর্শক কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে শুরুর পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি।
এর আগে তিন দফা দাবিতে ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত এক ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি হলো প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করা পরামর্শক কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে শুরুর পদ ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি।
এ দিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে সহকারী শিক্ষকদের শুরুর বেতন গ্রেড ১২তম এবং প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড হবে।