জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাদি, সুস্থতা কামনায় মোনাজাতে কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৮ PM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৪ PM
রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়েছে। এদিকে তার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল করেছে শাখা কেন্দ্রীয় ছাত্রশিবির।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ওসমান হাদির সুস্থতা কামনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মসজিদে দোয়া করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদি। তার মাথার ভেতরে থাকা বুলেট এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
আরও পড়ুন : লাইফ সাপোর্টে হাদি—এখনও গুলি বের করা যায়নি
ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গুলিবিদ্ধ শরীফ ওসমান বিন হাদির অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। মাথার ভেতরেই বুলেটটি রয়েছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনার পর ওসমান হাদির অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটাপন্ন। দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। শকে চলে যাওয়ায় দ্রুত সিপিআর দেওয়ার পর সাময়িকভাবে রক্তচাপ কিছুটা স্থিতিশীল হয়।
এরপরও পরিস্থিতিকে অত্যন্ত গুরুতর বলে বর্ণনা করেছেন চিকিৎসকেরা। তাকে আইসিইউতে ভর্তি করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তাঁর চিকিৎসায় সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার পর তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) নেওয়া হয়।
ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘জুমার নামাজের পর বেলা ২টা ২৫ মিনিটে বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা হামলাকারীরা হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়।’ তিনটি মোটরসাইকেলে এসে দুর্বৃত্তরা তাঁকে গুলি করে বলে জানান তিনি।
জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানান, নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাকে গুলি করা হয়। এদিকে সেখানকার নিরাপত্তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে।