অভ্যুত্থান-পরবর্তী ক্যাম্পাসে প্রথম লাশ উপহার দিল ছাত্রদল: বিবৃতিতে ছাত্রশিবির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ PM
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের ২০২৪–২৫ সেশনের এক সাধারণ শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। এ বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গণমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে মাদক সেবনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের এই দুটি গ্রুপ ছাত্রাবাসে মাদক বিক্রি ও সেবনের মাধ্যমে আবাসিক পরিবেশকে বিপর্যস্ত করে আসছিল। ঘটনার দিনও মাদকসেবন কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। এতে সাধারণ নিরীহ শিক্ষার্থীরাও হামলার শিকার হন এবং নিহত সাকিবসহ বহু শিক্ষার্থী আহত হন। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাকিবের মৃত্যু হয়। আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী হত্যা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়; এটি একটি সরাসরি হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনা ছাত্রদলের ধারাবাহিক হত্যার রাজনীতির সুস্পষ্ট প্রতিফলন। হলের অভ্যন্তরে তাদের বেপরোয়া সন্ত্রাস, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মাদকসেবন ও আধিপত্যের রাজনীতির নির্মম পরিণতি এটি। সেই সাথে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রশাসনের চরম ব্যর্থতার প্রমাণ।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। ফ্যাসিবাদী আমলে নিজের চরিত্র আড়াল করে রাখলেও অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিভিন্ন ক্যাম্পাসে তাদের হিংস্র রূপ উন্মোচিত হয়েছে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা নিহত সাকিবের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধৈর্য ধারণের তৌফিক কামনা করছি।’