সাদিক কায়েমকে নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের পুরোনো পোস্ট আলোচনায়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩২ PM , আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ফলাফল প্রকাশের পরই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের একটি পুরোনো ফেসবুক পোস্ট নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে জুলাই আন্দোলনের সময় সাদিক কায়েমের ভূমিকার বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
জুলকারনাইন সায়ের ফেসবুক পোস্টটিতে লেখেন, একটা স্ট্যাটাস লেখার জন্যে দুপুর থেকেই চিন্তা করছিলাম, বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠার মতো অবস্থা হয়েছিল আমার সিদ্ধান্তের। এক ফুট উঠে তো আবার দুই ফিট স্লিপ করে নীচে নামে। স্বভাব যেহেতু এ ধরনের মতামত চেপে রাখার বিপক্ষে, তাই আমিও আর চেপে রাখতে পারলাম না। তৈলাক্ত বাঁশটা পার করেই ফেললাম।
তিনি বলেন, ছেলেটাকে আমি চিনতাম সালমান নামে, পরিচয় জুলাইর ২৫ তারিখ থেকে, তারপর নিয়মিতই কথা হতো, আমার খুব কাছের বন্ধুদের একটা নেটওয়ার্ক অতি গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমন্বয়ককে নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করে। মূলত সালমানের সাথে কোঅর্ডিশন করেই সব আয়োজন করা হয়। বয়সে বেশ ছোট সালমানের সাথে বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয় আমার ও আমার বন্ধুদের।
ডিবি কার্যালয় যখন সমন্বয়কদের শীর্ষ নেতৃত্ব আটক, তখন সালমান ও অন্যান্য সমন্বয়করা পুরো আন্দোলনের নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। নিরাপদ আবাসে থাকা সবার সাথেই আমার নিয়মিত যোগাযোগ হতো, সত্যি বলতে কি সালমানের পুরো পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ দেখে আমি বেশ অবাকই হচ্ছিলাম। কতইবা বয়স তাঁর, হয়তো ২৪-২৫ হবে, তারপরও এই ছেলে যেভাবে সকল পরিস্থিতে আমার বন্ধুদের পরামর্শে ম্যানুভার করেছে এবং অতি গুরুত্বপূর্ণ সব স্ট্রাটেজিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাদিক ভিপি, ফরহাদ জিএস, মহিউদ্দিন এজিএস
জুলকারনাইন সায়ের আরও লিখেছেন, এই তো কয়েকদিন আগেই কথা হলো সালমানের সাথে, কোনও পরিবর্তনই নেই ছেলেটার মধ্যে, নিরহংকার সেই একই সালমান। অন্য সকল সমন্বয়কদের থেকে সালমান ও কাদের- এই দুটো ছেলে একেবারেই ভিন্ন। দু’জনের নেতৃত্বই অত্যন্ত বলিষ্ঠ। তো আজকে দুপুরে জানলাম সালমানের প্রকৃত নাম শাদিক কাঁইয়ূম এবং তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবিরের সভাপতি।
‘অবশ্যই অবাক হয়েছি, বেশ অবাক হয়েছি’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘প্রকাশ্যে রাজনীতি করার সুযোগ না পেয়েও শিবির যে সালমানের (আমার কাছে সে সালমানই থাকবে), মতো একটা নেতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে, তার জন্যে সাধুবাদ জানাই। ছাত্র রাজনীতি সুষ্ঠ ধারার গণতন্ত্রের জন্যে অত্যাবশ্যক এবং তার সদ্ব্যবহার করে যে কোন রাজনৈতিক দলই যদি সালমান কিংবা কাদেরের মতো তরুণ-তরুণীদের এত ম্যাচিউর্ড নেতা-নেত্রী হিসেবে তৈরি করতে পারে, তাহলে মন্দ কি?’