শিক্ষার্থীদের স্কুলে মোবাইল আনা নিষিদ্ধ, শিক্ষকরাও নিতে পারবেন না ক্লাসে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২৫, ০৭:৫৭ PM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৩ PM
কোনো শিক্ষার্থী স্কুলে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না এবং কোনো শিক্ষক মোবাইল ফোন নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন নাসহ ১২টি নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য চাঁদপুরের শিক্ষাসংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আজ শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলা প্রশাসকের স্বাক্ষরিত এক পত্রে ১৩ নির্দেশনা প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
জানা গেছে, গত ১২ আগস্ট চাঁদপুর জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় নির্ধারণে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। কর্মশালায় ১৩টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো-
কোনো ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না। কোন শিক্ষক মোবাইল নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করতে পারবে না; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী একাধারে ০৩ দিন অনুপস্থিত থাকলে অভিভাবকের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনে হোম ভিজিট করতে হবে; শিক্ষকবৃন্দ শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর ন্যূনতম ১৫ মিনিট পূর্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হবেন এবং প্রতিষ্ঠান প্রধান তা নিশ্চিত করবেন।
নির্ধারিতসময়ে উপস্থিত না হলে বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; শ্রেণিকার্যক্রম শুরুর পূর্বে কোন শিক্ষক প্রাইভেট পড়াতে পারবে না। 'শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২' অনুসরণ করতে হবে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে; প্রতি মাসে শ্রেণিভিত্তিক অভিভাবক সমাবেশ বা প্যারেন্টস ডে আয়োজন করতে হবে; শিক্ষার্থীদের নিয়মিত হোমওয়ার্ক প্রদান করতে হবে এবং ক্লাসে হোমওয়ার্ক জমাদানে ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য করতে হবে; বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ল্যাব এবং অন্যান্য সরঞ্জামের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
শ্রেণি কার্যক্রমের জন্য শিক্ষক নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের দক্ষতাকে একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে; বিষয়ভিত্তিক ক্লাস টেস্ট নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। মাসে কমপক্ষে ০২ বার প্রতি বিষয়ে ক্লাস টেস্ট নিতে হবে; সিলেবাস, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রণয়ন করতে হবে; বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার/হালকা নাস্তা প্রদানের জন্য অভিভাবককে উৎসাহিত করতে হবে।
প্রতিদিন টিফিন ব্রেকের পর হাজিরা গ্রহণ করতে হবে। টিফিন ব্রেকের পর অনুপস্থিতির তথ্য অভিভাবককে অবহিত করতে হবে ও শ্রেণিকক্ষে আসন সংখ্যার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।