ভিকারুননিসায় হিজাবকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই শিক্ষিকা সাময়িক বরখাস্ত 

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ   © সংগৃহীত

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে হিজাব পরায় ক্লাস থেকে ২২ শিক্ষার্থীকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা  ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাজেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়। 

নোটিশে বলা হয়, বসুন্ধরা প্রভাতী শাখার একটি শ্রেণি কক্ষ হতে ২২ জন শিক্ষার্থীকে হিজাব পরার কারণে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সহকারী শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে কেন তাকে চাকরি হতে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ‘গ’ শাখার ৬ষ্ঠ পিরিয়ডের ক্লাসে দেরিতে প্রবেশ করেন শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার। ওই শিক্ষক ক্লাসে প্রবেশের আগেই ভলান্টিয়ার টিমের সদস্য ও নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী প্রবেশ করেন। ক্লাস ক্যাপটেইনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী শৃঙ্খলা বিষয়ে সেই শিক্ষার্থীদের চেক করতে থাকে তারা। এ সময় ফজিলাতুন নাহার ক্লাসে প্রবেশ করেন এবং ক্লাস থেকে তাদের নিয়ে বাহিরে যেতে বলেন। পরে এক শিক্ষার্থী তার কোন ধরনের ওড়না পড়ে আসা যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ চায়লে স্কুল কোড অনুযায়ী স্কার্ফ পড়ে আসতে বলা হয়।

প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘কয়েকজন শিক্ষার্থীরা শৃঙ্খলা বিষয়ে কোনো ধরনের বিঘ্নতা ঘটছে কিনা, তা দেখছিল ভলেন্টিয়ার শিক্ষার্থীরা। পরে এক শিক্ষার্থী কোন ধরনের ওড়না পড়ে আসা যায়, সে ব্যাপারে ওই শিক্ষকের কাছে এসে পরামর্শ চায় এবং তাকে স্কুল কোড অনুযায়ী স্কার্ফ পড়ে আসতে বলেন। এর বাইরে কোনো শিক্ষার্থীকে হিজাব বা ওড়না বিষয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। যে শিক্ষার্থী পরামর্শ নিতে এসেছিল, তাকেই শুধু পরামর্শ দেওয়া হয়। বিষয়টা এমন নয় যে, তাকে ডেকে এনে পরামর্শ বা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা।’

শিক্ষার্থীদের দিয়েই শৃঙ্খলার রক্ষার কাজ কেন, এমন ইস্যুতে সোমবার বিকালে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগমকে বিভিন্ন সময়ে অন্তত ৫ বার কল করা হলেও পাওয়া যায়নি। তবে এর আগে দুপুরে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবারের মধ্যে (২৭ আগস্ট) রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা কোনো ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। সবাই নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। আমি ও আমার শিক্ষকরা ধর্মীয় বিষয় মেনে চলেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এর আগে দুঃখপ্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে একটি আবেদন দেন ওই সহকারি শিক্ষিকা (ইংরেজি) ফজিলাতুন নাহার


সর্বশেষ সংবাদ