মামলা তুলতে ৮ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী নেতার বিরুদ্ধে
- গোবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৭:১৪ PM , আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ০১:০৫ AM
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল (গোবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী কর্তৃক সমন্বয়ক ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলা উঠিয়ে নিতে আসামীদের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব ওমর শরীফের বিরুদ্ধে।
গতকাল রবিবার (২৫ মে) রাত সাড়ে ১০টায় এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল।
সংবাদ সম্মেলনে ফয়সাল বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি আমাদের উপর একটা হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় আমি বাদী হয়ে মামলা করি। পরবর্তীতে এই মামলার বেশ কিছু দিন কেটে যায়, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং আরও কয়েকজন ছাত্র নেতাদের সহযোগিতায় আমরা বসে মামলা তুলে নিতে চাই এবং কিছু শর্ত দেই। শর্তের মধ্যে ছিল, আসামিদের নিকট থেকে কোন প্রকার জরিমানা করা যাবে না এবং জরিমানার টাকা আমার কাছে আসা যাবেনা। তারপরও ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী আমার নিকট টাকার প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল এবং সমঝোতা করার অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিল। এটা আমি অফিসে জানাই। পরবর্তীতে ২২ তারিখে আমি জানতে পারি, সমন্বয়ক ওমর শরীফ আসামিদের কাছে টাকা দাবি করেছে। সেটা ৮ লক্ষ টাকার মত।
তিনি আরও বলেন, টাকার অফার দেয়ার সময় কেউ একজন অডিও রেকর্ড করেন। রেকর্ডটা আমার কাছে আসে। শরিফ ওদেরকে বলে এই টাকা থেকে ভাগ দিতে হবে মামলার বাদীকে। ভাগ দিতে হবে ছাত্রদলের রাকিব ভাইকে।
আরও পড়ুন: কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বাড়ছে না, সম্মতিপত্র জারি নিয়ে যা জানাল অর্থ মন্ত্রণালয়
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও টাকা চাওয়ার একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ওমর শরীফকে বলতে শোনা যায়, মামলা তুলে নিতে হলে ৮ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এখানে ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনকে ম্যানেজ করতে সবাইকে টাকা দিতে হবে। টাকাগুলো নগদ না দিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে দেন।
৮ লক্ষ টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ওমর শরীফ বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না, পরে কথা বলবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ জানুয়ারি, ইতিহাস বিভাগের ছাত্র ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ বিশ্ববিদ্যালযয়ে পরীক্ষা দিতে আসলে, সমন্বয়করা তাকে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করতে চায়। এতে ইতিহাস বিভাগের কিছু শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা সোহাগকে সমন্বয়কদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় সমন্বয়ক ওমর শরীফ ও সাংবাদিক আতিক ফয়সালসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।