কর ফাঁকি প্রতিরোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৫ PM
কর ফাঁকি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলগুলোর গোয়েন্দা বা ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেলের (আইআইসি) কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশনা প্রদান করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
রবিবার (৫ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানায়। এতে বলা হয়, ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে অধিকতর বেগবান করে কর ফাঁকি প্রতিরোধের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মাঠ পর্যায়ের কর অঞ্চলসমূহের ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেলের (আইআইসি) কার্যক্রম জোরদার করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর অডিট, ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন) এর দপ্তর হতে জারিকৃত উক্ত নির্দেশনায় প্রতিটি কর অঞ্চল কর্তৃক ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন, টিমসমূহের কার্য পদ্ধতি, টিমের সুপারিশ প্রণয়নের ভিত্তি এবং ফাঁকি দেয়া কর পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিটির অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে।
ইনভেস্টিগেশন কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন প্রকারের গোয়েন্দা তথ্য, কর ফাঁকির অভিযোগ, প্রিন্ট ও ইলোস্ট্রোনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য, আয়কর নথি ও বিভিন্ন রেজিস্টারে ঘষা-মাজা বা কাটা-ছেঁড়া, অস্বাভাবিক পরিমান করমুক্ত আয় প্রদর্শন, করযোগ্য আয় এবং পরিশোধিত করের তুলনায় সম্পদ বিবরণীতে অস্বাভাবিক পরিমান নীট সম্পদ প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট টিম ইনভেস্টিগেশন কার্যক্রম শুরু করবে।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলমের নিয়োগপ্রাপ্তদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন
রাজস্ব ফাঁকির ব্যাপারে আইনী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইনভেস্টিগেশন পর্যায়ে কর ফাঁকির সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট টিম রাজস্ব পুনরুদ্ধার কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন কমিটির অনুমোদনের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করবে। রাজস্ব ফাঁকির সুস্পষ্ট তথ্য-উপাত্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট কর কমিশনারেটের ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন কমিটি রাজস্ব পুনরুদ্ধারের আইনি কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুমোদন প্রদান করবে।
সন্নিবেশিত তথ্য-উপাত্ত পাঠানোর সময়সীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিটি কর কমিশনারেটকে মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত ছকে তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করে ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশন কার্যক্রম হতে সৃষ্ট অতিরিক্ত দাবি এবং অতিরিক্ত কর আদায়ের বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ইন্টেলিজেন্স এন্ড ইনভেস্টিগেশনের কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে ফাঁকি দেয়া রাজস্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে, কর ফাঁকি দেয়ার প্রবনতা হ্রাস পাবে এবং সুষ্ঠু কর সংস্কৃতির বিকাশ লাভ করবে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।