ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সালিশে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত

সংঘর্ষে নিহত আমীর আলী
সংঘর্ষে নিহত আমীর আলী  © সংগৃহীত

ঢাকার কেরানীগঞ্জে শুরু হওয়া ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সংঘর্ষে আমীর আলী (৫০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের সময় দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে। 

আহত আমীর আলীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ জানায়, বিষয়টি হত্যা নাকি স্ট্রোকজনিত মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত আমীর আলী দাঁতমন্ডল গ্রামের মো. রফিজ আলীর ছেলে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে সুজন মিয়ার ব্যাগের কারখানায় যান শাকিল নামে এক যুবক। সেখানে কারখানার এক কর্মচারীকে লাঞ্ছিত করেন তিনি। এ ঘটনায় শাকিল ও সুজনের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা ও পরবর্তীতে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে দুজনেই নিজ বাড়ি নাসিরনগরে ফিরে আসেন। ঘটনাটি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য বুধবার বিকেলে উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে বসেন। সালিশ চলাকালেই দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপে জড়িয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। এ সময় সুজনের পক্ষের আমীর আলী অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, আমীর আলীর মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত সুজনের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষ শাকিলের সহযোগী জালাল উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১৩টি গরু লুট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও হামলা চালানো হয়।

ঘটনা সম্পর্কে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তানভীর আহমেদ বলেন, দাঁতমন্ডলে দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। তার হাঁটুতে ইটের আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে কী কারণে তিনি মারা গেছেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।


সর্বশেষ সংবাদ