আয়ারল্যান্ডকে উড়িয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫২ PM , আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ PM
শুরুর দিকে রীতিমত ঝোড়ো শুরু করেছিল আয়ারল্যান্ড। তবে পাওয়ার প্লের পর টাইগার বোলারদের দাপটে একের পর এক উইকেট হারায় সফরকারীরা। এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি। শেষমেশ অল্পতেই গুটিয়ে যায় সফরকারীদের। জবাবে তানজিদ তামিমের হাফ-সেঞ্চুরি আর সাইফ-ইমনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এতে ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচ সিরিজটি জিতল বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ দশমিক ৫ ওভারে ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। জবাবে ১৩ দশমিক ৪ ওভারে জয় তুলে নেয় লিটন দাসের দল।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে ইয়াংয়ের টানা দুই বলে চার-ছক্কা হাঁকান সাইফ। শেষ বলেও ছক্কা হাঁকাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে মার্ক অ্যাডায়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ওপেনার। ১৪ বলে ১৯ রান করে আউট হন সাইফ।
তার বিদায়ে উইকেটে এসেছিলেন লিটন দাস। তবে আজও হাসেনি টাইগার দলপতির ব্যাট। মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।
সেখান থেকে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তানজিদ তামিম ও পারভেজ ইমন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তামিম আর ৩ ছক্কা ও এক চারে ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংসে জয় নিশ্চিত করেন ইমন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে আগ্রাসী মেজাজে খেলতে থাকে আয়ারল্যান্ড। তবে পাওয়ার শেষদিকে এসে সেই লাগাম টানতে পেরেছে বাংলাদেশ। লাল-সবুজ শিবিরে প্রথম সাফল্য এনে দেন শরীফুল ইসলাম। তার ফাঁদে পড়ার আগে ২ চার ও এক ছক্কায় ১৪ রান তুলেছিলেন টিম টেক্টর (১৭)।
পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে আক্রমণে এসেই উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার স্লোয়ারে ৬ বলে ৫ রান করে বিদায় নেন হ্যারি টেক্টর।
অবশ্য, অদ্ভুত এক দৃশ্যে রচনা করেছিলেন হ্যারি। সামনের পায়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি। ব্যাটে লেগে স্টাম্পের দিকে ছুটেছিল বল। এ সময়ে বিপদ টের পেয়ে তাড়াতাড়ি পা দিয়ে বলটা সরাতে গিয়েও পারেননি আইরিশ এই ব্যাটার। স্টাম্পে আঘাত করে বল।
সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরেই আঘাত হানেন মেহেদী। লর্কান টাকারকে (১) সাজঘরে ফেরান এই অফ-স্পিনার। আম্পায়ার শুরুতে নট-আউট দিলেও রিভিউ নিয়ে সফলতা পায় বাংলাদেশ।
একপ্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অন্যপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিং। তবে রিশাদের স্পিন বিষে তিনিও কাঁটা পড়েন।
ইনিংসের ১২তম ওভারে রিশাদের তৃতীয় ডেলিভারিতে স্ট্রেট দিয়ে চার মারেন স্টার্লিং। পরের বলেও বাউন্ডারি মারতে গিয়েছিলেন। তবে টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় মিড উইকেটে সাইফকে ক্যাচ দেন ২৭ বলে ৩৮ রান করা স্টার্লিং।
এর আগের ওভারে রিশাদের বল এগিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন কার্টিস ক্যাম্ফার (৯)। রিশাদের দারুণ গুগলিটি না বুঝেই কাট করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন ক্যাম্ফার।
নিজের শেষ ওভারেও উইকেট নেন রিশাদ। ইনিংসের ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে ডেলানিকে ক্যাচ আউট করেন রিশাদ। তার ফ্লাইট বলটি বুঝতেই পারেননি ডেলানি।
এরপর ৮ রান করা মার্ক অ্যাডায়ারকে (৯ বলে ৮) ফেরান মোস্তাফিজ। এই ব্যাটারের আকাশে উঠানো বলটি সহজেই লুফে নেন তানজিম। ওভারের শেষ বলে একইভাবে আকাশে ক্যাচ তুলে আউট হন হামফ্রিস। ২ বলে ১ রানে আউট হন তিনি।
এছাড়া তানজিদের হাতে ক্যাচ দিয়েই আউট হন জর্জ ডকরেল। শরিফুলের বলে ফেরার আগে ২৩ বলে ১৯ রান করেন এই ব্যাটার। এতে নির্ধারিত ওভারের আগেই অল্পতে গুটিয়ে যায় আইরিশরা।
বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন। এছাড়া ২ উইকেট নেন শরীফুল ইসলাম।
বিস্তারিত আসছে...