আজও বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৯ AM , আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:০৫ AM
তিন দফা দাবিতে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। গত ২৭ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদসহ অন্যান্য প্লাটফর্মের অনুসারীরা এ কর্মসূচি পালন করছেন। পাশাপাশি গতকালের বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনও করেন তারা। তাদের এ কর্মসূচি আজও পালিত হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের শিক্ষক নেতারা।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ প্রাইমারি স্কুল সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুদ্দীন ফেসবুকে লেখেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুত ৩ দফা বাস্তবায়নে আজও সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও ৩য় প্রান্তিক মূল্যায়ন বর্জন কর্মসূচি পালন হবে।
তিনি আরও লেখেন, আজ বিকেল ৪টায় দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করে শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দিতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করে তার বরাবর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে জরুরি স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
তিনি আরেক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আজ বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য সকল সদর উপজেলা এবং সিটি করপোরেশনের সকল সহকারী শিক্ষক এবং অন্যান্য উপজেলা থেকে কমপক্ষে ১০০ জন করে শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত করবেন।
এর আগে, গত রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানায়।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলনে শিক্ষকরা
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি ‘যৌক্তিক’ বলে বিবেচিত হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে অর্থ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পে-কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পে-কমিশনে সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীতকরণ নিয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও জানানো হয়।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা জানান, সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী ১১তম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার চাঁনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম গত রবিবার বলেছিলেন, সোমবার থেকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলেও আমরা তা বর্জন করছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
মন্ত্রণালয় সতর্ক করে জানিয়েছিল, ১ ডিসেম্বর (সোমবার) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এ সময়ে কর্মবিরতির কর্মসূচি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেবে। তাই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ বিবেচনায় নিয়ে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ এবং সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা পরিপন্থি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষকদেরকে অনুরোধ করা হল।