১১তম গ্রেড নিয়ে যা বললেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ PM , আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৩৭ PM
‘প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নতির জন্য আমরা সবসময় কাজ করে যাচ্ছি। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড দিতে পেরেছি এবং সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড দিতে পারি কি না সেজন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আশা করি সফল হবো।’
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আগামী বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পাবে- আমি নিশ্চয়তার সঙ্গে বলতে পারি। জেলা পর্যায়ে এখনই বেশিরভাগ বই এসে গেছে, ফলে জানুয়ারির শুরুতেই শিক্ষার্থীদের কাছে সব বই পৌঁছে যাবে।’
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি আমাদের মূল লক্ষ্য এটিই। কারণ আগে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন বিভিন্ন খাতে হলেও মূল উদ্দেশ্যটি কেন্দ্রীয় গুরুত্ব পায়নি। আমরা এখন সেই মূল উদ্দেশ্যকেই সামনে আনছি এবং প্রয়োজনীয় সবকিছু সেভাবেই সাজাচ্ছি। প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হলো- একজন শিক্ষার্থী যেন মাতৃভাষায় সাবলীলভাবে পড়ে বুঝতে পারে এবং লিখে প্রকাশ করতে পারে, এটাকেই আমরা ভাষাগত স্বাক্ষরতা বলি।
পাশাপাশি প্রাথমিক গাণিতিক নিয়মগুলো (যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ) যেন একজন শিক্ষার্থী সঠিকভাবে বুঝতে পারে, কোন সমস্যা সমাধানে কোন নিয়ম প্রয়োগ করতে হবে তা শিখতে পারে এবং প্রয়োগ করতে পারে- এটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন প্রাথমিক শিক্ষার্থীর মূল টার্গেট হচ্ছে ভাষাগত ও গাণিতিক স্বাক্ষরতা অর্জন, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। এসব ক্ষেত্রকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।