দুই সেঞ্চুরিতে পাঁচ শ'র আগেই থামল বাংলাদেশ

 মুশফিক ও লিটন
মুশফিক ও লিটন  © টিডিসি ফটো

সাড়ে চার শ’র আগেই থেমে যেতে পারত বাংলাদেশের ইনিংস। তবে সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দেয় শেষদিকে এবাদত হোসেনের ঝোড়ো ব্যাটিং। গ্যাভিন হোয়ের এক ওভারেই ৩ চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রান নিয়ে দলীয় স্কোরকে আরও সম্মানজনক পর্যায়ে নেন এই পেসার।

শেষ পর্যন্ত ১৪১ দশমিক ১ ওভারে ৪৭৬ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এবাদত ২৪ বলে অপরাজিত ১৮ রান করে দলের টেইলএন্ডে কার্যকর ভূমিকা রাখেন। আর খালেদ আহমেদ ১২ বলে ৮ রান করেন।

মুশফিকুর রহিমের বিদায়ের পর স্বাগতিকদের স্কোরশিট টেনে নেন লিটন ও মেহেদী মিরাজ। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৪০০ রানের মাইলফলক ছাড়ায় বাংলাদেশের। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন লিটন, আর মিরাজও খেলেন কার্যকরী ইনিংস। তবে জুটি বড় হওয়ার পরও মাত্র ৪ বলের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন এই দুই ব্যাটার।

মূলত মিরাজের ভুল এক শটেই ভাঙে তাদের ১৩৩ রানের পার্টনারশিপ। গ্যাভিন হোয়ের বলে ৪৬ রানে থাকা অবস্থায় প্রথমে কাভারে সহজ ক্যাচ দেন, কিন্তু হ্যারি টেক্টর সেটি ফেলে দেন। তবে সেই ভুলে সতর্কতা না নিয়েই দুই বল পর ফের আরও বড় শট খেলতে গিয়ে বালবার্নির হাতে ক্যাচ দেন মিরাজ। আর এক রানের বেশি এগোতে পারেননি মিরাজ, বিদায় নেন ৪৭ রানে।

ঠিক দুই বল পরই ফেরেন লিটনও। হাম্প্রেসকে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজড হয়ে স্লিপে থাকা পল স্টার্লিংয়ের হাতে চলে যায় বল। ১২৮ রানে শেষ হয় লিটনের দুর্দান্ত ইনিংস, যেখানে ৮ চার ও ২ ছক্কা হাঁকান ক্ল্যাসিক এই ব্যাটার।

লিটনের পর দ্রুতই ফেরেন তাইজুলও। গ্যাভিন হোয়ের নিখুঁত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে মাত্র ৪ রান করেই সাজঘরে ফেরত যান এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

এরপর মুরাদ আর এবাদতে সচল ছিল স্বাগতিকদের রানের চাকা। তবে দলীয় ৪৬৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুরাদ। ২২ বলে ১১ রান করা এই স্পিনারকে এলবিডব্লিউ আউট করে নিজের পাঁচ উইকেট পূরণ করেন আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন।

টাইগারদের শেষ ব্যাটার হিসেবে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন খালেদকেও। তাকে ফিরিয়ে নিজের ষষ্ঠ হোল পূরণ করেন আইরিশ স্পিনার ম্যাকব্রাইন।

এর আগে, দ্বিতীয় দিনের সকালটাই যেন রঙিন হয় দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরির উৎসবে। মুশফিকের ঐতিহাসিক শতরানের পর নিজের ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন লিটনও।

অবশ্য, দিনের শুরুতেই ইতিহাস গড়েন মুশফিক। দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টে নাম লিখিয়ে সেই ম্যাচেই তুলে নেন মহামূল্যবান এক সেঞ্চুরি। টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ১১তম ব্যাটার হিসেবে শততম ম্যাচে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়ে নিজের নাম তোলেন এলিট তালিকায়। ২১৩ বল মোকাবিলা করে ১০৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। পরে টাইগারদের রানের চাকাকে আরও গতিশীল করেন লিটন। এগিয়ে যেতে থাকেন তিন অঙ্কের দিকে। অবশেষে ১৫৮তম বলে পৌঁছান কাঙ্ক্ষিত সেই সেঞ্চুরিতে। 

 


সর্বশেষ সংবাদ