জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা

ফেনীর চার কেন্দ্র অংশ নিয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৭ ভর্তিচ্ছু

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা  © টিডিসি

আট বছর পর আবারও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ফেনী শহরের চারটি কেন্দ্রে অংশ নিয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৭জন ভর্তিচ্ছু।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফেনী সরকারি কলেজে অংশ নেয় ৩  হাজার ৩৮০ জন। এছাড়া ফেনী সেন্ট্রাল হাই স্কুলে ৮৬২ জন, শাহীন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ হাজার ৩০৯ জন এবং ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

ফেনীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হতে শুরু করেন। পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাউট ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের সদস্যরা কেন্দ্রের গেটে দায়িত্ব পালন করছিলেন, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না ঘটে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রবেশমুখে তল্লাশি করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের জন্য কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষার ব্যবস্থা ছিল। 

জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সময় নির্ধারিত ছিল ১ ঘণ্টা। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য ১ নম্বর করে বরাদ্দ থাকলেও ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা হবে না। ভর্তি প্রক্রিয়ার সার্বিক মূল্যায়নে পরীক্ষার্থীদের এমসিকিউ অংশে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৪০ শতাংশ (চতুর্থ বিষয়সহ) ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৬০ শতাংশ যোগ করে মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা প্রস্তুত করা হবে।

আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিচ্যুত ৯৮৮ কর্মকর্তা-কর্মচারী ফিরছেন স্বপদে

এদিকে পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আট বছর পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগে শুধু জিপিএ দিয়ে ভর্তি হতো, কিন্তু সেটা সব সময় ন্যায্য ছিল না। এখন জিপিএর পাশাপাশি মেধা যাচাইয়ের সুযোগ থাকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রকৃত যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন।

ফেনী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা আবদুল্লাহ আল মামুন নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আগে শুধু জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি নিত, যেটা সব সময় সবার জন্য ন্যায্য হতো না। তবে এ বছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা যাচাইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের মতো অনেক শিক্ষার্থীর জন্য বড় একটা সুযোগ। নিজেকে প্রমাণ করার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আমি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’

ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অংশ নেওয়া সানজিদা সুলতানা বলেন, ‘পরীক্ষা খুব গুছানোভাবে হয়েছে। পরিবেশও ছিল চমৎকার। কোনো ঝামেলা ছাড়াই পরীক্ষা দিয়েছি। আশা করছি ভালো একটা ফল পাব।’

ফেনী সেন্ট্রাল হাইস্কুলে পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে আসার পর রাজিব চৌধুরী নামের আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা আবার চালু হওয়ায় মনে হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি আমাদের জন্য বড় সুযোগ। নিজেকে প্রমাণের একটা প্ল্যাটফর্ম পেয়েছি। পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের উত্তর করেছি। আশা করি ভালো ফল আসবে।’


সর্বশেষ সংবাদ