নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিতব্য হলের ছাদ ধস উদ্‌ঘাটনে তদন্ত কমিটি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় নির্মিতব্য হলের ছাদ ধসে ১২ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। আহত শ্রমিকদের  ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহতদের ৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও গুরুতর ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

৩১ জুলাই বিকেল ৩ টায় বিদ্রোহী হলের পাশে নির্মিতব্য নতুন ছাত্র হলে এই ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে ১০ তলা ভবনটির ২য় তলার বারান্দার ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়। দুপুরে বৃষ্টি হলে কাজ কিছু সময় বন্ধ থাকে। বৃষ্টি শেষে  ঢালাইয়ের কাজ পুনরায় শুরু হলে ছাদের সাটারিং নড়বড়ে হয়ে পড়ে । এক পর্যায়ে সাটারিং ভেঙে সম্পূর্ণ ছাদ ধসে মাটিতে পড়ে যায়। 

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উক্ত কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন: ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ; ড. মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর; মো. অলি উল্লাহ, সহকারী অধ্যাপক, লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ; সৈয়দ মো. মোফাছিরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক এবং সদস্য সচিব প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম, উপ প্রধান প্রকৌশলী, প্রকৌশল দপ্তর।

শিক্ষার্থীরা বলছেন ছাদ ঢালাইয়ে নিম্নমানের নির্মাণ  সামগ্রী,ছাদের সাটারিংয়ে দুর্বল খুঁটি,লোহার পাইপের পরিবর্তে বাঁশ,পাটের দড়ি ব্যবহার,ঠিকাদারি প্রশাসনের গাফিলতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথাযথ তদারকির অভাবেই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রকৌশলী মো. রাহাত হাসান দিদার বলেন, ‘সাটারিং সহ সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে। মূলত বৃষ্টির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’ তবে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলামের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কী কারণে ধসে পড়লো, কারও গাফিলতি আছে কি না, তা তদন্তে দেখা হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ