বিদ্রোহী ও শিউলিমালা নামে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই হলের নামকরণ
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০৮:২৩ AM , আপডেট: ২৭ মে ২০২৫, ০৩:৩৫ PM
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাকাইনবি) ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসিক ২ হলের নতুন নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে যথাক্রমে নতুন নাম ‘বিদ্রোহী হল’ এবং ‘শিউলিমালা হল’ করা হয়।
গত জুলাই-আগস্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবের পর থেকেই মুজিব পরিবারের নামে স্থাপিত স্থাপনাসমূহের নাম পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছিল নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি ভাষণ ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব পরিবারের স্মৃতিবিজড়িত সকল স্থাপনা ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেন।
ওই রাতেই ‘বঙ্গমাতা’ হলের নামফলক ও ম্যুরাল ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এ সময় উত্তেজনার বশে মই থেকে পিছলে পড়ে চারুকলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহজালাল আহমেদ জনি গুরুতর আহত হন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে পরদিন দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ম্যুরাল ও নামফলক সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে স্নাতকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু আজ, যা করতে হবে
এ ঘটনার পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকটি প্রতীকী স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় ‘বঙ্গবন্ধু স্কয়ার-এর নাম পরিবর্তন করে ‘জুলাই-২৪ স্কয়ার’ রাখা হয়। একইসঙ্গে ছাত্রদের ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বিদ্রোহী হল’ এবং ছাত্রীদের ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের’ নাম পরিবর্তন করে ‘শিউলিমালা হল’ রাখা হয়।
বিদ্রোহী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিন্ডিকেটে হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পর নতুন নামফলক স্থাপনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয় হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে অফিসিয়ালভাবে অনুমোদন এবং বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লেগেছে।’
শিউলিমালা হলের প্রভোস্ট ড. হাবিবা সুলতানা জানান, ‘জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সিন্ডিকেট সভায় হলের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কিন্তু তা বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগে। নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষ্যে বহু মানুষ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগমন করছেন। এই অবস্থায় হলের নামফলক খালি থাকাটা শোভনীয় নয়। তাই প্রশাসনের কাছে নতুন নামফলক দ্রুত স্থাপনের অনুরোধ জানাই। প্রশাসন প্রকৌশল দপ্তরকে নির্দেশ দিলে তারা নামফলক স্থাপনের কাজ শুরু করে।’