ইবিতে শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৫, ০৪:১২ PM , আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫, ০৮:৫২ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৮ মে) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি করিডরে ইবি শাখার জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময় জিয়া পরিষদ কর্মকর্তা ইউনিটের সভাপতি মো আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেন।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাব ইবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান, ইবির জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী, শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন ছাড়াও জাতীয়তাবাদী আদর্শের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আরও পড়ুন: চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ডাক্তার-নার্সদের ওপর হামলা ‘সুস্থ’ জুলাইযোদ্ধাদের
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না। তার মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে তারা বাংলাদেশেরই মৃত্যু চেয়েছিল। তার জন্ম না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মুখ হয়তো দেখা হতো না আমাদের। তিনি খাল কেটেছেন, নদীপ্রবাহের ব্যবস্থা করেছেন, কৃষির উন্নয়ন করেছেন যাতে স্বনির্ভরতা আসে। যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শকে বিশ্বাস করেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করেন তারা কখনোই দুর্নীতি করতে পারেন না, লুটপাট করতে পারেন না। আপনারাও তাদের আদর্শ বিক্রি করে শত শত কোটি টাকা কামানোর স্বপ্ন দেখবেন না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. নকীব নসরুল্লাহ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন সাধারণ মানুষের নেতা। ওনার লেখনির মধ্যে দিয়েই মানুষের জন্য, দেশের জন্য অকৃত্রিম ভালোবাসার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে ক্ষমতা গ্রহণ করে সুবজ বিপ্লবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারণা দিয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন, কোদাল দিয়ে মাটি কেটেছেন, গায়ে কাদা মাখিয়েছেন। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তিত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু এই ধারণা অনেক আগেই দেওয়া আছে শহীদ জিয়াউর রহমানের ১৯ দফায়। আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শ চর্চার জন্য গবেষণাগার তৈরি করবো যাতে তাকে সবাই জানতে পারে।’