লাখ লাখ জনতার উপস্থিতিতে শেষ হলো বেগম জিয়ার জানাজা © টিডিসি সম্পাদিত
রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ শেষ হয়েছে। জানাজা পড়িয়েছেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। সাড়ে ৩টার পর জানাজা শেষে সংসদ ভবনের পেছনে স্বামী জিয়াউর রহমানের কবরের পাশেই দাফন করা হবে।
বুধবার দুপুর ৩টা ২ মিনিটে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন সড়কে এ জানাজা শুরু হয়। জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষের ভিড় সংসদ ভবন এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
জানা গেছে, আগারগাঁও, পাসপোর্ট অফিসের উল্টো পাশের সড়ক, বিজয় সরণি ও ফার্মগেটের সামনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে মানুষের ভিড়ে বিজয় সরণি, পরিকল্পনা কমিশনের সড়ক, চীন মৈত্রী সড়ক এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে সড়ক কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়া’
এর আগেই সকাল বেলা বেগম জিয়াকে লাল-সবুজ জাতীয় পতাকায় মোড়ানো একটি ফ্রিজার ভ্যানে করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় আনা হয়। সেনাবাহিনী হিউম্যান চেইন গঠন করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মরদেহ গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
এদিন বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে ছেলে তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসা থেকে খালেদা জিয়ার মরদেহ বহনকারী ফ্রিজার ভ্যানটির যাত্রা শুরু হয়।
সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে বেগম খালেদা জিয়ার মরদেহ রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বের করে গুলশানে নেওয়া হয়। শুরুতে তার দীর্ঘদিনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নেওয়ার কথা থাকলেও পরে গাড়িটি তারেক রহমানের গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর পর বেলা ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত খালেদা জিয়ার স্বজন এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা শেষবারের মতো তাকে শ্রদ্ধা জানান।
প্রসঙ্গত, টানা ৩৮ দিন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার ভোর ৬টায় চিকিৎসকরা বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।