ম্যানহাটনে গুলিতে নিহত ৪ জনের একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:২১ PM , আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ PM
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে একটি বহুতল ভবনে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত চারজনের একজন ছিলেন বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। তিনি নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে সাড়ে তিন বছর ধরে কর্মরত ছিলেন।
নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা এস টিশ এক বিবৃতিতে জানান, দিদারুলের স্ত্রী বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাদের দুটি ছোট সন্তান রয়েছে, তৃতীয়টি আসন্ন।
সোমবার (স্থানীয় সময়) এক বন্দুকধারী ম্যানহাটনের একটি বহুতল ভবনে ঢুকে গুলি চালায়। ওই ভবনে একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সদর দপ্তর রয়েছে। হামলায় চারজন নিহত হন, পরে হামলাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেন।
তবে সিএনএন জানায়, ঘটনার সময় দিদারুল ইসলাম পুলিশের দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি ভবনটিতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
ঘটনার পর নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস নিহত পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দিদারুল বাংলাদেশ থেকে অভিবাসী হয়ে নিউইয়র্কে এসেছিলেন। তিনি তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘জুলাই হত্যার আসামিরা এখন ভিক্টিম, আর আমি ভিলেন’— উপদেষ্টা আসিফের ‘আক্ষেপ’
মেয়র অ্যাডামস আরও বলেন, তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন। আমরা যাদের সঙ্গে কথা বলেছি, সবাই বলেছেন তিনি একজন বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন, ঈশ্বরে আস্থা রাখতেন এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতেন। তিনি নিউইয়র্ক শহরের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন—শুধু তার পরিহিত ইউনিফর্ম নয়, তার মন-মানসিকতা এবং শহরের প্রতি ভালোবাসাই তাকে সত্যিকারের নিউইয়র্কার করে তুলেছিল। আজ সন্ধ্যায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আমি বলেছি, তিনি একজন নায়ক, আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, তিনি তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলে তিনি যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তা চরম আত্মত্যাগ। ঠাণ্ডা মাথায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে—তার পরিহিত ইউনিফর্ম এই শহরের প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রতীক ছিল। তিনি বেঁচেছিলেন একজন বীর হিসেবে, মৃত্যুও হয়েছে তেমন করেই।