করোনা ভ্যাকসিনে সরকারি তহবিল বন্ধ করছে ট্রাম্প প্রশাসন

প্রতীকি ছবি
প্রতীকি ছবি  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন করোনাভাইরাসসহ ভবিষ্যতের মহামারি মোকাবিলায় ব্যবহৃত mRNA (মেসেঞ্জার আরএনএ) ভ্যাকসিন প্রযুক্তির ওপর সরকারি গবেষণা তহবিল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এ প্রযুক্তিই ছিল করোনা মহামারির সময় দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির মূল ভরসা। মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র জানিয়েছেন, mRNA ভিত্তিক ভ্যাকসিন গবেষণায় আর কোনো সরকারি অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে না। (খবর স্ট্যাট নিউজ)

এই ঘোষণার অংশ হিসেবে জরুরি স্বাস্থ্য প্রস্তুতির জন্য কাজ করা সরকারি সংস্থা BARDA তাদের দেওয়া ২২টি গবেষণা অনুদান স্থগিত করছে। যদিও Arcturus এবং Amplitude নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের চলমান প্রকল্প চালু থাকবে, কারণ এতে ইতোমধ্যেই সরকারি অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সায়েরের ১০ অনুরোধ

মন্ত্রী কেনেডি বলেন, ‘তথ্য অনুযায়ী, মেসেঞ্জার আরএনএ (mRNA) প্রযুক্তির ভ্যাকসিনগুলো COVID বা ফ্লু-এর মতো উপরের শ্বাসনালী সংক্রমণ প্রতিরোধে যথেষ্ট কার্যকর নয়।’

তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, mRNA প্রযুক্তিই ছিল করোনাভাইরাস মহামারির সময় দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরির মূল ভিত্তি। এই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সংকটে প্রস্তুত থাকার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে।

সরকারি সংস্থা BARDA-র সাবেক পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য পরামর্শক রিক ব্রাইট এই সিদ্ধান্তকে ‘আত্মঘাতী’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি কোনো দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নয়। বরং এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য সংকটে ভ্যাকসিন তৈরিতে পিছিয়ে পড়বে এবং বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।’

প্রসঙ্গত, রিক ব্রাইট করোনাভাইরাস মহামারির সময় সরকারের প্রস্তুতি ও সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলায় BARDA থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি হুইসেলব্লোয়ার হিসেবে স্বীকৃতি পান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও মহামারীর ঝুঁকি বেড়ে চলার সময়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে বড় ধরনের হুমকির মুখে ফেলতে পারে।


সর্বশেষ সংবাদ