করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, কী বলছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৫:২০ PM , আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:৫৮ PM
আইইডিসিআর (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান) পরিচালিত কোভিড-১৯ সার্ভিলেন্সের সাম্প্রতিক উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে গেছে। চলতি বছরে সংক্রমণের হার আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে যা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
চলতি বছরের মে মাসে (২০২৫) আইইডিসিআর-এর বিভিন্ন সার্ভিলেন্স সেন্টারের মাধ্যমে ১৪০৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৪টি নমুনায় কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে যা মোট পরীক্ষার ৯.৫১% — জানুয়ারি ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত রেকর্ডকৃত সর্বোচ্চ শনাক্তের হার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ পরিস্থিতি নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোর উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হতে পারে। আইইডিসিআর ও পিএইচওসি পরিচালিত জিনোম সিকুয়েন্সিং বিশ্লেষণে মে-জুন ২০২৫ মাসে দেশে Omicron BA.2.86 এবং JN.1 সাব-ভেরিয়েন্টের পাশাপাশি নতুন দুটি সাব-ভেরিয়েন্ট XFG এবং XFC শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢামেক শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
এর আগেও ২০২৩ সালের মে থেকে আগস্ট এবং ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ে সংক্রমণের হার ১.৫% এর উপরে ছিল। তবে এবারকার সংক্রমণের গতি এবং নতুন সাব-ভেরিয়েন্টের উপস্থিতি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইইডিসিআর-এর পরামর্শ অনুযায়ী করণীয়:
ঘন ঘন হাত ধুতে হবে — সাবান পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। কাশি ও হাঁচির সময় টিস্যু বা বাহুর ভাঁজ ব্যবহার করে মুখ ও নাক ঢাকুন। ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনা-যুক্ত পাত্রে ফেলে দিন এবং হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন। জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। জনসমাগম এড়িয়ে চলুন এবং প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর নাগরিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে, যেন দেশের কোভিড পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায়।