পদত্যাগ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয়

পদত্যাগ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয়
পদত্যাগ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয়  © টিডিসি ফটো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ন্যায্য দাবিদাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘটিত আন্দোলনকে ভিন্নখানে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন গভীরভাবে উদ্বীগ্ন।

আরও পড়ুন: ভাইরাল হওয়া অডিওটি এডিট করা: শাবিপ্রবি ভিসি

‘‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পরিবেশিত খবরে জানা যায়, নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করাসহ নানা অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে গত ১৩ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার রাতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীরা হল থেকে বেরিয়ে ক্যাম্পাসের গোলচত্বর এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করে। গভীর রাতে উপাচার্য মহোদয়ের আশ্বাসে ছাত্রীরা হলে ফিরে যায়।’’

পরেরদিন শুক্রবার কয়েকজন ছাত্রী উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার পদত্যাগ, নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ এবং হলের অব্যবস্থাপনার দ্রুত কার্যকর সমাধানের দাবি জানায়। উপাচার্য হলের সকল সমস্যা সমাধানে ছাত্রীদের কাছে একমাস সময় চান। তবে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে সময় না দিয়ে দাবি মেনে নিতে আল্টিমেটাম দিয়ে পুনরায় আন্দোলন শুরু করে।

আরও পড়ুন: সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নেব: শাবি ভিসি

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৬ জানুয়ারি রবিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে। উপাচার্য মহোদয় ডিনদের এক সভায় যাওয়ার সময় হঠাৎ একদল উশৃঙ্খল শিক্ষার্থী তাঁকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে। এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে আইসিটি ভবনে নিয়ে যান। সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমতাবস্থায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে।

‘‘অভিযোগ রয়েছে সরকারবিরোধী সুযোগ সন্ধানী মহল ইতোমধ্যে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও একটি মহল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন।’’

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় নয়। বরং তা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে পারে। বর্তমান উপাচার্য শাহ জালাল বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এদতসত্ত্বেও সমাধানযোগ্য একটি বিষয়কে উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপান্তর করার উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও ভালো: শাবি ভিসি

বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান শান্ত পরিবেশকে বিঘ্নিত করে শিক্ষার্থীদেরকে ব্যবহার করে একটি মহল কর্তৃক দেশকে অস্থিতিশীল করার অব্যাহত চক্রান্তের এটি একটি অংশ বলে আমরা মনে করি। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাই।

একসঙ্গে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক সকল দাবি-দাওয়া মেনে নিয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence