চিরকুট লিখে নার্সিং শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০৫ AM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০৩ AM
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়া ওয়াপদা এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নার্সিং শিক্ষার্থী। বুধবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
জানা যায়, আত্মহত্যা করা নার্সিং শিক্ষার্থীর নাম শামীমা নাসরিন (২১)। ২০০৯ সালের ৩১ মার্চ মাত্র আড়াই বছর বয়সে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন রাজিয়া খাতুন। এরপর থেকে তিনিই শামীমার প্রতিপালন করছিলেন। এইচএসসি পাসের পর নার্সিং বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করেন শামীমা।
পালক মা রাজিয়া খাতুন জানান, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা পদে চাকরি করতেন। শামীমাকে নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছেন এবং নার্সিংয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন। বাড়ির তিনতলার নিচতলায় একা থাকতেন শামীমা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সেখানেই গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, শামীমার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা ছিল- এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। যে ছিল, সে চলে গেছে। আমার আর অধিকার নেই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার। আমার ইচ্ছের কোনো দাম নেই। আমার মৃত্যু জন্য কেউ দায়ী নাহ। আমি ইচ্ছে করেই আমার এই জীবন শেষ করে দিলাম।’