ভর্তিচ্ছুরা যে কৌশলে অন্যদের চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দৌড়ে এগিয়ে যেতে পারেন

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা  © সংগৃহীত

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা এখন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন। তাদের জন্য, পরীক্ষা যেন শুধুই পরীক্ষা নয়, এ যেন এক যুদ্ধ। পরীক্ষা কেন্দ্র যেন রণক্ষেত্র। এখন প্রতিটি মুহূর্ত তাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় কিছু কৌশল বা পন্থা অবলম্বন হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল সহায়ক।

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের এ সময় মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি থাকতে হবে অধিক যত্নশীল। পর্যাপ্ত ঘুম এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। তাদের দৈনিক কাজের একটি রুটিন বানাতে হবে এবং সে অনুযায়ী  কাজ করতে হবে। যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী, প্রথমেই সেগুলোর একটি তালিকা করে ফেলতে হবে।

ক্যারিয়ার গড়ে তোলায় নিজের পছন্দের বিষয়কে অধিক প্রাধান্য দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলোর নোটিশবোর্ডে নিয়মিত নজর রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার ভর্তি সম্পর্কিত নানা গ্রুপে যুক্ত থাকতে হবে। পরীক্ষার আগের রাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জিনিস গুছিয়ে ফাইলে রাখতে হবে। প্রবেশপত্রের নির্দেশনাগুলো ভালোমতো পড়ে নিতে হবে।

পরীক্ষার আগের রাতে মোটেও বেশি রাত জাগা যাবে না এবং বেশি দুশ্চিন্তা করা যাবে না। এমনকি আগের রাতে বেশি পড়ার চাপ ও নেওয়া যাবে না। সারা বছরের পড়া কখনোই এক রাতে পড়ে শেষ করা সম্ভব না। পরীক্ষার কেন্দ্র নিয়েও ভালোভাবে যাচাই করে নিতে হবে, সম্ভব হলে আগের দিন গিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র দেখে আসা উত্তম।

আরও পড়ুন: জাবির প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু রবিবার, হল পাবেন না পোষ্য কোটাধারীরা

অনেক সময় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্র ভালোভাবে লক্ষ্য না করার কারণে ভুল কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে চলে যান। এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ থাকতে হবে। হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে যেতে হবে। পরীক্ষার হলে গিয়ে কোনোরকম তাড়াহুড়ো না করে নিজের সিট খুঁজে বসতে হবে। উত্তরপত্র হাতে পাওয়ার পর খুবই সচেতনতার সাথে নিজের রোল নম্বর ভরাট করতে হবে। ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না।

প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর মনোযোগের সাথে প্রশ্ন পড়ে সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর নিয়ে বিভ্রান্ত কাজ করলে সেটি নিয়ে অধিক সময় নষ্ট না করে পরবর্তী প্রশ্নে চলে যাওয়া উত্তম। পরীক্ষা শেষ করে সেটি নিয়ে অধিক ভেবে সময় নষ্ট না করে পরের পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

আগের পরীক্ষা ভালো হলো, নাকি খারাপ হলো- সেটি নিয়ে বেশি ভেবে সময় নষ্ট বা মন খারাপ করা যাবে না। কোনোক্রমেই নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস কমানো যাবে না। পরীক্ষা ভালো হলেও অধিক উত্তেজনা পরের পরীক্ষায় যেন প্রভাব না ফেলে তা নিয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। সবমিলিয়ে মাথা ঠান্ডা রেখে নিয়ম মেনে ঠিকভাবে পরীক্ষা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব।


সর্বশেষ সংবাদ