ভাইভা বোর্ডে ছেলে-মেয়ের স্মার্ট পোশাক কেমন হওয়া উচিত, রং কী?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ PM
সুন্দর ও পরিপাটি পোশাক যেমন নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, তেমনি তা অন্যদের কাছেও আকর্ষণীয় করে তোলে। অনেক সময় মানুষের বাহ্যিক উপস্থিতিই প্রথমে দৃষ্টি কাড়ে এবং ইতিবাচক ধারণা তৈরি করে। ভাইভা বোর্ডেও বিষয়টি এর ব্যতিক্রম নয়। এখানে পরীক্ষার্থীকে মূল্যায়ন কেবল প্রশ্নোত্তরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং তার বাহ্যিক উপস্থিতি, অভিব্যক্তি ও আচরণ একজন প্রার্থীর সামগ্রিক মূল্যায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ভাইভায় অংশগ্রহণের আগে স্মার্ট ও ফরমাল পোশাক নির্বাচন, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং রং নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকা অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাইভা বোর্ডে ছেলে-মেয়েদের পোশাক কেমন হওয়া উচিত।
ছেলেদের পোশাক:
শার্ট: ছেলেদের ভাইভার জন্য সাদা ফুল-স্লিভ শার্ট সবচেয়ে উপযুক্ত। সাদার ওপর হালকা স্ট্রাইপ থাকলেও সমস্যা নেই। সাদা রঙ শালীনতা ও পেশাদারিত্ব প্রকাশ করে।
প্যান্ট: কালো বা অন্য গাঢ় রঙের ফরমাল প্যান্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। জিন্স প্যান্ট পরা থেকে বিরত থাকাই ভালো, কারণ এটি ফরমাল পোশাকের সঙ্গে মানানসই নয়।
জুতা, বেল্ট ও ঘড়ি: ফরমাল চামড়ার জুতা এবং প্যান্টের সঙ্গে মিলিয়ে কালো রঙের চামড়ার বেল্ট দেখতে বেশ স্মার্ট লাগে। হাতঘড়ির ক্ষেত্রে চামড়ার ফিতাযুক্ত সাধারণ ও ফরমাল ঘড়ি বেশি মানানসই।
টাই: শার্ট, প্যান্ট ও জুতার সঙ্গে মিল রেখে মার্জিত রঙের টাই পরলে পোশাক আরও পরিপূর্ণ ও স্মার্ট দেখায়।
স্যুট: ভাইভার জন্য স্যুট পরাটা বেশি ভালো। যদিও অনেকে এটি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। তবে স্যুট পরলে অবশ্যই টাই ব্যবহার করতে হবে, এতে ফরমাল লুক সম্পূর্ণ হয়।
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা: ভাইভার পাঁচদিন থেকে ছয়দিন আগে চুল কেটে নিলে চুল স্বাভাবিকভাবে সেট হয়ে আসে। এ ছাড়া ভাইভার একদিন কিংবা দুইদিন আগে হাতের নখ ছোট করে নিতে হবে। ভাইভার আগের দিন বা ভাইভার দিন সকালে সেভ করে নিলে নিজেকে আরও পরিপাটি দেখাবে।
মেয়েদের পোশাক:
শাড়ি: মেয়েদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত পোশাক হলো মার্জিত ও হালকা রঙের শাড়ি অথবা সালোয়ার-কামিজ। অতিরিক্ত নকশা বা খুব উজ্জ্বল রঙ এড়িয়ে চলাই ভালো।
গহনা: পরিমিত মাপের কানের দুল ও গলায় একটি সাধারণ চেইন পরতে পারেন। খুব ভারী গয়না ভাইভাতে পরা উচিত নয়।
মেকআপ: গহনার মতো খুব বেশি ভারি মেকআপ করা ঠিক না, হালকা মেকআপ ও হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করলে স্বাভাবিক ও পরিপাটি লুক বজায় থাকে।
ঘড়ি ও চুড়ি: এক হাতে সাধারণ ঘড়ি এবং অন্য হাতে হালকা চুড়ি পরা যেতে পারে, তবে যেন অতিরিক্ত না হয়।
চুল ও জুতা: চুল বেণি করে বা পরিপাটি করে বেঁধে রাখা ভালো। শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে মানানসই ও আরামদায়ক জুতা পরিধান করলেই যথেষ্ট।
ভাইভায় ভালো করার জন্য শুধু প্রস্তুতিই নয়, নিজেকে সুন্দর ও পরিপাটি ভাবে উপস্থাপন করাও গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্ট ও ফরমাল পোশাক, পরিচ্ছন্নতা এবং পরিমিত সাজ একজন পরীক্ষার্থীকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং ভাইভা বোর্ডে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সহায়তা করে।