৫ বছর পর মিয়ানমারে সামরিক জান্তা আয়োজিত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৪১ AM
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অবশেষে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের প্রায় পাঁচ বছর পর এটাই দেশটির প্রথম জাতীয় নির্বাচন।
মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রাজধানী নেইপিদো, বাণিজ্যিক রাজধানী ও বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুন, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়সহ জান্তানিয়ন্ত্রিত সব শহর ও গ্রামাঞ্চলে আজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিট) থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় পার্লামেন্ট এবং প্রাদেশিক আইনসভার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে।
তবে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চল ও প্রদেশগুলোতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
এর আগে মিয়ানমারে সর্বশেষ নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল ২০২০ সালের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় অর্জন করেছিল গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু ওই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এনএলডি সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং ওই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেন।
আরও পড়ুন: জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা আজ, শিক্ষার্থীদের মানতে হবে ৬টি বিশেষ নির্দেশনা
চলমান নির্বাচনে নিবন্ধিত ৫৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে। তবে এসব দলের অধিকাংশই কোনো না কোনোভাবে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কিত বা তাদের ওপর নির্ভরশীল বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব দল কেবলমাত্র পছন্দের বিভ্রম সৃষ্টি করছে, কিন্তু সামরিক শাসনের প্রকৃত বিরোধিতার প্রতিনিধিত্ব করছে না।
অংশগ্রহণকারী এসব দলের মধ্যে মাত্র ছয়টি দল দেশজুড়ে যেখানে যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানে সব আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এই ছয়টির মধ্যে সামরিক বাহিনী সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) রয়েছে। তারা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী দিয়েছে এবং বহু আসনে তাদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার পথে আছেন।
অন্যদিকে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছিল। সেই দলটিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জান্তা সমর্থিত ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশনের দাবি অনুযায়ী নিবন্ধিত হতে অস্বীকার করার পর এনএলডিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।