দাদা-দাদির কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে রুমিন ফারহানার নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু

দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করছেন রুমিন ফারহানা
দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করছেন রুমিন ফারহানা  © সংগৃহীত

দাদা-দাদির কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ–বিজয়নগরের একাংশ) আসনে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রুমিন ফারহানা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন তিনি। যদিও রুমিন ফারহানা সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা, তবে তার দাদা-দাদি ইসলামপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।

এর আগে বুধবার রুমিন ফারহানার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সরাইল উপজেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন। তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু বকর সরকারের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

উল্লেখ্য, সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার দুটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক খেজুরগাছ নিয়ে নির্বাচন করবেন। গত সোমবার তার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়। তিনি জেলা সদরের অষ্টগ্রাম ইউনিয়নের বাসিন্দা।

নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর পর সাংবাদিকদের রুমিন ফারহানা বলেন, আজ দাদা-দাদির কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আমার নির্বাচনী যাত্রা শুরু করলাম। আমি ১৭ বছর ধরে অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং মানুষের অধিকারের পক্ষে লড়াই করেছি। এলাকার ও দেশের মানুষের কাছে দোয়া চাই।

তিনি আরও বলেন, আমার এলাকার মানুষ ভোটের মাধ্যমে বিচার করবে। আমার প্রতি যে অন্যায় ও অসম্মান করা হয়েছে, মানুষ ভোটের মাধ্যমেই তার জবাব দেবে। জোট না দেওয়ার বিষয়ে এলাকার মানুষের যে আকুতি ছিল, তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন রুমিন ফারহানার বাবা ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদ। রুমিন ফারহানার দাবি, ওই নির্বাচনে তার বাবা বিজয়ী হলেও পরদিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!