বাংলাদেশের ৩৫ মৎস্যজীবীকে ধরে নিয়ে গেল ভারতীয় কোস্ট গার্ড
- টিডিসি ওয়ার্ল্ড
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১৮ AM
ভারতের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরার অভিযোগে বাংলাদেশের দু’টি ট্রলার আটক করেছে ভারতের কোস্ট গার্ড। ওই দুই ট্রলারে থাকা বাংলাদেশের ৩৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার তাঁদের গ্রেফতার করেছে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবারই ওই মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে। খবর আনন্দবাজার।
কোস্ট গার্ডের একটি সূত্র মারফত পত্রিকাটি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর এফবি ‘রূপসী সুলতানা’ ও এফবি ‘সাবিনা’ নামের দু’টি ট্রলার ভারতের জলসীমায় ঢুকে মাছ ধরছিল। টহল দেওয়ার সময় বিষয়টি নজরে আসে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের। পরে ট্রলার দু’টি আটক করে মৎস্যজীবীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায়, তাঁরা বাংলাদেশের কুতুবদিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
তার পরেই ৩৫ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে বুধবার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় কোস্ট গার্ড। বুধবার বিকেলে আটককৃত মৎস্যজীবীদের ফ্রেজারগঞ্জ মৎস্যবন্দরে আনা হয়। বৃহস্পতিবার বেলায় কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তাঁদের হাজির করাবে পুলিশ।
সোমবার বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৎস্যজীবীদের ট্রলারে হামলা চালিয়েছিল বাংলাদেশ নৌসেনার জাহাজ। তার পরেই ওই ট্রলারটি ডুবে যায়। মঙ্গলবার সকালে ওই ট্রলারে থাকা ১১ জন মৎস্যজীবীকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুর ঘাটে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ট্রলারেই থাকা পাঁচ জন মৎস্যজীবীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার সকালে নামখানার নারায়ণপুর ঘাটের কাছে ট্রলারটি টেনে আনার পরে উদ্ধার হয় দুই মৎস্যজীবী সঞ্জীব দাস (৫৬) ও রঞ্জন দাসের (৫০) দেহ। পুলিশ জানায়, সঞ্জীবের বাড়ি কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুরে। রঞ্জন ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের দুবরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। এখনও নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবী। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই এ বার ফের ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের দু’টি ট্রলারের বিরুদ্ধে।