৫ আগস্ট বন্ধ থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫, ০২:৫১ PM , আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৫, ০১:১৩ PM
প্রতি বছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দিবসটি উপলক্ষে দিনটিতে সাধারণ ছুটি থাকবে। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষও ৫ আগস্ট ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আদিষ্ট হয়ে এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রতিবছর ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন এবং সাধারণ ছুটি ঘোষণার প্রেক্ষিতে আগামী ৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) অত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে।’
এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত জানায়।
আরও পড়ুন: এসএম হলের তুলনায় ১০ গুণ বেশি ভোটার রোকেয়া হলে, কোন হলে কত জন?
এছাড়া পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে সরকার প্রতিবছর ১৬ জুলাই ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হবে। অপরদিকে, ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আরও একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এরও আগে, গত ২৫ জুন জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’, আন্দোলনের পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার দিন ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ এবং আন্দোলন চলাকালে রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদের মৃত্যুদিন ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ ঘোষণা করা হয়।
তবে ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতারা। আজকের প্রজ্ঞাপনে ৮ আগস্টকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন না করার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয় এবং ১৬ জুলাইকে ‘জুলাই শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। তার তিন দিন পর, ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে জুলাই মাসজুড়ে চলে ব্যাপক আন্দোলন, যা পরিণত হয় ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানে। এই আন্দোলনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’ নামে অভিহিত করা হয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকারের উদ্যোগে মাসব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যাপন অনুষ্ঠানমালা’। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানমালা ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে চলবে।