ইউপিডিএফ-এর সাথে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

ইউপিডিএফ এর সাথে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের প্রতিবাদে এবং ইউপিডিএফ-এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১১ মে ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ নামক সংগঠনের ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সাথে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক করেছেন। এই সংগঠন প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছে তারা স্বায়ত্তশাসন চায়। এবং তারা নিজেদের আদিবাসী দাবি করে। যারা নিজেদের আদিবাসী দাবি করেন তারা প্রত্যেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে তারা আদিবাসীর স্বীকৃতি চায়। আর এদের মধ্যে অন্যতম সংগঠন ইউপিডিএফ। এটা শুধু পার্বত্যচট্টগ্রামের সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। এটা ত্রিদেশীয় একটা বিস্তৃত সন্ত্রাসী সংগঠন। এই ইউপিডিএফ এর সাথে ভারতের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সম্পর্ক রয়েছে। এদের সাখে মায়ানমারের আরাকান আর্মির যোগাযোগ আছে। শুধু যোগাযোগ নয়। তারা একে অপরকে সামরিক প্রশিক্ষণ  অস্ত্র সহায়তাসহ সব দিক থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করছে।  

তিনি বলেন, যে সন্ত্রাসী সংগঠন প্রকাশ্যে স্বায়ত্তশাসন চায় তার সাথে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন কিভাবে বৈঠক করে। তাদের রাজনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বৈঠক করে। সেটা আমাদের বুঝে আসে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে বৈঠক করার মাধ্যমে তাদের যে নৈতিক দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সেই দায়বদ্ধতা তারা হারিয়ে ফেলেছে। কাজেই আমরা স্পষ্ট বলতে চাই অন্তর্বর্তী সরকারে যেসব কুশিলব চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতা করছে তাদের উস্কে দিচ্ছে তাদেরকে অতিদ্রুত ঐক্যমত্য কমিশন  থেকে অপসারণ করতে হবে। এই কুশিলবদের মধ্যে অন্যতম ইফতেখার উজ্জামান । যে প্রতিনিয়ম এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। অতিদ্রুত এই ইফতেখার উজ্জামানকে সরকারের সকল কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করতে হবে। 

এসময় সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পাঁচ দফা দাবি জানান তারা-

১. ইউপিডিএফের এর সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠক বাতিল করতে হবে।

২. সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. ঐকমত্য কমিশন থেকে ড. ইফতেখারসহ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহযোগীদেরকে অপসারণ করতে হবে।

৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খ্রিস্টানাইজেশন রোধ করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. পাহাড় থেকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ