জুলাইয়ে হামলাকারীদের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার সময় বাড়ালো ঢাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৫৯ AM , আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫, ০৪:৩৮ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় আনতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত কমিটিতে তথ্য ও বক্তব্য প্রদানের বাড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত ১৬ মে জুলাই আন্দোলনে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনার তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়। এতে ১৫ জুন পর্যন্ত তথ্য ও অভিযোগ দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এ সময়সীমা ১৫ জুন থেকে বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। গত ২২ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়ে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট প্রদান করেন এবং গত ১৭-০৩-২০২৫ তারিখ, সিন্ডিকেট সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে উক্ত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য সিন্ডিকেট কর্তৃক ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান-পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আলোচনায় ১০ মাসে ১৬ উদ্যোগ
এতে আরও বলা হয়, এই তদন্ত কমিটি প্রথম সভায় উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদানের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল। ই-মেইল: inquiry@du.ac.bd, অথবা প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর আগামী ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া যাবে। ইতঃপূর্বে যারা অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাহারা পুনরায় অভিযোগ জমা দেওয়ার প্রয়োজন নাই। উল্লেখ্য যে, তথ্য-প্রমাণ প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৪ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ০৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসার জন্য তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি সকলের কাছে জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য আহ্বান করে এবং তদন্তের পর ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট প্রদান করেন। যার প্রেক্ষিতে গত ১৭ মার্চ সিন্ডিকেটের এক সভায় তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। পরে ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনী ও সহিংস ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।