চার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চারটিতেই বাজিমাত তমালের

তমাল সরকার
তমাল সরকার  © টিডিসি

তমাল সরকার। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়‌সহ (ঢাবি) ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে  চান্স পেয়েছেন। তিনি মানবিক থেকে ঢাবি ‘খ’ ইউনিটে  ৫৯৩তম  হয়েছেন। এছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘বি’ ইউনিটে ১৭৭ তম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘খ’ ইউনিটে ১০৮তম এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের (বিইউপি) এফএএসএস ইউনিটে ১১৬তম স্থান অর্জন করেছেন। ভর্তি পরীক্ষায় নিজের সাফল্য, সংগ্রাম, নতুন ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু টিপস নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের। তার কথাগুলো শুনেছেন—তাহমিনা আক্তার।

আপনি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন, আপনার অনুভূতি কী? 

আলহামদুলিল্লাহ। এতগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে আমি সত্যিই আনন্দিত। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমি একদিন ঢাবিতে পড়ব, আল্লাহ সে স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। চার বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে চারটিতেই আসন নিশ্চিত করার আনন্দটা অসম্ভব সুন্দর, যা একসময় আমার কাছে কল্পনাতীত ছিল।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কোন বিষয়ে ভর্তি হতে চান? 

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হতে চাই। 

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছেন? 

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আমি সর্বদা মানসিক দৃঢ়তা ধরে রাখার চেষ্টা করেছি। তবে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করার পরে আমি দৈনিক ১০-১২ ঘণ্টা পড়ার টেবিলে ব্যয় করতাম। যেটি আমাকে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনে সহায়তা করেছে৷ 

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আপনার অনুপ্রেরণা কী ছিল? 

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আমার সবথেকে বড় অনুপ্রেরণা ছিল আমাকে নিয়ে আমার পরিবারের উচ্চ প্রত্যাশা। তবে এটি খানিকটা হতাশার জন্মও দিয়েছিল। কারণ সকলের প্রত্যাশা মতো পৌঁছাতে পারব কিনা সেটা খুবই উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ছোটবেলা থেকে প্রতিটি পরীক্ষার অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট যথেষ্ট ভালো হওয়ার কারণে শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রত্যাশা দিনদিন শুধু বেড়েই চলছিল। যা আমাকে খুব বেশি তাড়িত করেছে, কারণ আমি কখনোই তাদেরকে এই ভর্তিযুদ্ধে নিরাশ করতে চাইনি। আর এই জেদই আমাকে এই যুদ্ধে সফল হতে সাহায্য করেছে।

পরীক্ষার হলে কোন কৌশল অবলম্বন করে পরীক্ষা দিয়েছেন?  

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা  নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত থাকায় জানা জিনিসও ভুল করে এসেছি,  এমনকি প্রশ্নপত্রে ভালোভাবে নজর না দেওয়ার কারণে কিছু প্রশ্নের উত্তর না করে চলে আসার ঘটনাও ঘটেছে সেদিন। ভর্তি পরীক্ষার হলে সবথেকে বেশি জরুরি বিষয় হল নিজের মাথা ঠান্ডা রাখা। তবে বিইউপি, জাবি ও জবির পরীক্ষা আমি নিশ্চিন্তে দিতে পেরেছি, কারণ আমি আমার জানা ও তুলনামূলক সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর শুরুতেই লেখার চেষ্টা করেছি। যা আমাকে সফল হতে সাহায্য করেছে৷     

ভবিষ্যতে যারা ভর্তি পরীক্ষা দিবে তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি পরিশ্রম ও ভাগ্যের ওপরেই পুরো ভর্তিযুদ্ধের সাফল্য ও ব্যর্থতা নির্ভর করে। কঠোর পরিশ্রম করলে তবেই ভালো ফলাফল আশা করা যায়। তাই আমি জুনিয়রদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরীক্ষার হলে সময়ের যথাযথ প্রয়োগ করার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, টাইম ম্যানেজমেন্ট ঠিকঠাক না হলে ভালো প্রস্তুতি নিয়েও আশানুরূপ পরীক্ষা দেয়া সম্ভব হয় না। তাই সকল বিষয় খেয়াল রেখে শুরু থেকে প্রপার গাইডলাইন অনুযায়ী এগোলেই সফলতাকে স্পর্শ করা যায়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence