ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে এনসিপির একাত্মতা প্রকাশ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:২০ PM , আপডেট: ২৯ জুন ২০২৫, ১০:০৬ AM
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দলটির পক্ষ থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনের পূর্বে বিচার ও মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে কোন আপোস নয়।
আজ শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনসহ তিন দফা দাবিতে আয়োজিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের পর তিনি ফেসবুকের এক পোস্টে এ কথা বলেন।
ফেসবুকে সারজিস লেখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লক্ষ জনতার জাতীয় মহাসমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একাত্মতা প্রকাশ। নির্বাচনের পূর্বে বিচার ও মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে কোন আপোস নয়।
এদিকে, সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে সারজিস আলম বলেন, আমাদের মধ্যে সাময়িক কোনও সমস্যা হলেও ঐক্যবদ্ধভাবে তা সমাধান করা হবে। সংস্কার আর বিচারের প্রশ্নে দ্বিমত নেই। সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে জোড়ালোভাবে ভাবতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে হবে। রাজনৈতিক সমাবেশ করার পাশাপাশি জনদুর্ভোগ যাতে না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। এসময় জুলাই অভ্যুত্থানে দাড়ি-টুপি দেখে টার্গেট কিলিং করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া মোহাম্মাদ গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমীর মাওলানা অধ্যাক মুজিবর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান ও মাওলানা আব্দুল হালিমসহ হেফাজতে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, হিন্দু মহাজোট, এনসিপি, বৌদ্ধ বিহার, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের শীর্ষ নেতারা ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশে যোগ দেন।
এর আগে, বাদ জোহর কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের দ্বিতীয় অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। তার আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় সমাবেশের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
এদিকে, সমাবেশ ঘিরে উদ্ভূত যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ মোড়, শিক্ষাভবন মোড়, হাইকোর্ট মাজার এলাকা, কদম ফোয়ার, মৎস্যভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বর, চত্বর সংলগ্ন গেট, স্বাধীনতা জাদুঘর প্রধান ফটক এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থার লোক নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।