৭ বছরেও সম্পন্ন হয়নি বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ, বিপাকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাবিদ আব্দুর রহমান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়
শিক্ষাবিদ আব্দুর রহমান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়  © সংগৃহীত

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় শিক্ষাবিদ আব্দুর রহমান স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনের উপরের তিনতলার কাজ শেষ হলেও নিচতলার কাজ এখনো অসম্পন্ন। ফলে শিক্ষকদের অফিসকক্ষ সংকট, ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষ সংকট, অবকাঠামোর অসুবিধা এবং শৌচাগার সংকটসহ নানা অসুবিধা নিয়ে ৭ বছর ধরে শিক্ষাকার্যক্রম চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম কিবরিয়া জানান, নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের চৌমুরিয়া এলাকায় শিক্ষাবিদ আব্দুর রহমান স্মৃতি উচ্চবিদ্যালটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অদ্যাবধি পর্যন্ত এটি নন-এমপিও। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণ এখনো সরকারি কোন বেতন-ভাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। আমরা শিক্ষক কর্মচারীরা আমাদের পরিবার নিয়ে খুবই আর্থিক সংকটে আছি। তারপরও সরকারি কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের সুনাম অর্জন করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বিদ্যালয়টি একেবারেই অজপাড়াগাঁয়ে। প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক ৫ জন এবং খণ্ডকালীন শিক্ষক ৬ জন, বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রী ২৯৭ জন। গতবছর বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯১%। যদিও এবার তেমন ভাল হয়নি। এবারের ফলাফলের দিকে নজর দিলে ২/৩ টি ছাড়া উপজেলার অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফলের চিত্রের মতই আমাদেরও কম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন- নন-এমপিও হলেও সরকারিভাবে আমরা একটি চারতলা ভবন পেয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ২০১৮ সালে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তিনতলা কমপ্লিট হওয়ার পর নিচতলা এখনো অসম্পূর্ণই রয়ে গেছে। নির্মাণ শুরুর ৭ বছর পার হয়ে গেলেও ঠিকাদার  নির্মাণ কাজ শেষ করে দিচ্ছেন না। দেবেন দেবেন বলে বছরের পর বছর অতিবাহিত করে যাচ্ছেন। নিচতলার কাজ না করায় শৌচাগারের খুবই সমস্যা হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের। শৌচাগার ছাড়া কি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারে! আমরা জেলা শিক্ষা প্রকৌশল বরাবর লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছি।

স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, ভবনের উপরের তিনতলা চকচকে হলেও নিচতলা সদরঘাট। ধুলাবালি, ময়লা আর অগোছালো পরিবেশ। অবিলম্বে নিচতলার কাজ সম্পন্ন করে বিদ্যালয়টিকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও নিরাপদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করা হোক।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদার মনু মিয়া জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নিচতলার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে দেয়া হবে।

কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমদাদুল হক তালুকদার জানান, বিষয়টি আমি জানি না এবং বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও আমাকে অবহিত করা হয়নি, তারপরও আমি বিষয়টি দেখবো।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!