আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড: অস্ত্র সরবরাহকারী ছাত্রলীগ কর্মীকে হলে রাখতে মরিয়া প্রশাসন

ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান কবির
ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান কবির  © সংগৃহীত

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ জুলাই আবু সাঈদ হত্যা কাণ্ডের দিন অস্ত্র সরবরাহকারী ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান কবিরকে হলে রাখতে মরিয়া হল প্রশাসন। এদিকে প্রায় তিন বছরেরও অধিক সময় ধরে শহীদ মুখতার ইলাহী হলে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন এ ছাত্রলীগ কর্মী। 

এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর হলে অবৈধভাবে অবস্থানরত দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা হল কর্তৃপক্ষের সেই নির্দেশনা না মেনে এখনো হলে অবস্থান করছেন। এদিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা হল প্রশাসনের ছত্রছায়ায় হলে অবস্থান করছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাত্রলীগ কর্মী রনি আহমেদ তার কিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেলেও একই কক্ষে সিটধারী আরেক শিক্ষার্থীকে এনে রাখেন। অন্যদিকে ছাত্রলীগ কর্মী রায়হান কবির শুরুতে পাশের একটি কক্ষে দুই দিন অবস্থান করলেও বর্তমানে নিজ কক্ষেই অবস্থান করছেন।

রুমে অবস্থানের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রায়হান কবির বলেন, ইংরেজি বিভাগের ‘কথক’ নামের এক শিক্ষার্থী তাকে সেখানে থাকতে বলেছেন। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর মধ্য রাতে এক সাংবাদিককে হুমকি দিয়ে রায়হান বলেন, আমি হলে আছি, হলেই থাকব। কি করতে পারেন করেন। 

হল সূত্রে জানা গেছে, এই দুই ছাত্রলীগ কর্মীর বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রভোস্ট রাকিবুল হাফিজ খান রাকিব বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। প্রভোস্টের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। প্রথমদিকে জুলাই হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের তালিকায় রায়হান কবিরের নাম থাকলেও পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে তা বাদ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে রনি আহমেদকেও ছাত্রলীগের একাধিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে দেখা গেছে। এমনকি ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে ছাত্রলীগের মিছিলের প্রথম সারিতে তাকে দেখা গেছে বলে জানা যায়। রায়হান কবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এবং রনি আহমেদ মার্কেটিং বিভাগের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।


বেরোবি ছাত্রদল সভাপতি মো. ইয়ামিন বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ছাড়া নাই। যারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে, ক্ষতি করেছে। এখন আবার ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। আমরা হল প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি। হয় হলে ছাত্রলীগ থাকবে, না নয় হল প্রশাসন থাকবে।

এ বিষয়ে শহীদ মুখতার ইলাহী হলের প্রভোস্ট ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ছুটি শেষে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!