সেই বিসিএসই সরকারের পতন ঘটিয়েছে: কামরুল হাসান মামুন
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৮ PM , আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৩ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেছেন, ছাত্রদের নেশায় ব্যস্ত রেখে যে বিসিএস বানানো হয়েছিল, এখন সেটাই সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আজ বুধবার (১৬ জুলাই) মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জুলাই শহীদ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার একটি সুপরিকল্পিত কাজ করেছে। ছাত্রসমাজকে ব্যস্ত রাখা, যাতে তারা প্রতিবাদ করতে না পারে। এর অংশ হিসেবে ‘বিসিএস’ নামের একটি সরকারি চাকরিকে এমন এক উচ্চতায় তুলে ধরা হয়েছে, যা অনেকটা অলীক স্বপ্নের মতো।
তিনি বলেন, আমি যখন বাসা থেকে ক্যাম্পাসে আসি, দেখি লাইব্রেরির সামনে বিশাল লম্বা ব্যাগের লাইন। প্রথমে ভালো লাগে ভেবে—সবাই বই পড়তে আসছে! কিন্তু পরে বুঝি, তাদের উদ্দেশ্য শুধুই বিসিএসের প্রস্তুতি। প্রথম বর্ষের একজন ফিজিক্স ছাত্রও এই বিসিএসের পড়া পড়ে।
অধ্যাপক মামুন বলেন, পুরো জাতিকে যেন একটি চাকরির নেশায় আচ্ছন্ন করে ফেলা হয়েছে। বিসিএসকে আকর্ষণীয় করতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছে—যার পদসংখ্যা মাত্র এক-দুই বা চার হাজার, অথচ লক্ষ লক্ষ তরুণকে এই একটি চাকরির পেছনে ছুটতে বাধ্য করা হয়েছে। এটি একটি মারাত্মক অন্যায়। এর মাধ্যমে সরকার লাভ দেখেছে—ছাত্ররা যেন অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে, বরং অলীক স্বপ্নের পেছনে দৌড়ায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে, শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্নের চাকরিও তাদের কোটা খেয়ে দিছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ, বিশেষ অতিথি ছিলেন জুলাই শহীদের মা মোর্শেদা বেগম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. দেলোয়ার জাহান মলয়। সভাপতিত্ব করেন শিক্ষার্থীকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক ও উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মতিউর রহমান, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে.এম. মহিউদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ইমাম হোসেন।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা উপস্থিত ছিলেন।