জুলাই সনদের বিরোধীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : মামুনুল হক

সিলেটে আট দলীয় সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক
সিলেটে আট দলীয় সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে আজ দেশের মানুষ দুই শিবিরে বিভক্ত। এক পক্ষ বিভিন্ন বাহানায় জুলাই সনদ ও রাষ্ট্রীয় সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তারা মনে করে, অতীতে যেমন বছরের পর বছর একদল ক্ষমতায় ছিল, ভবিষ্যতেও আবার কেউ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বাংলার সম্পদ লুট করবে এবং মানুষের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করবে। যারা জুলাই সনদের বিপক্ষে দাঁড়াবে, বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে ইসলামী ও সমমনা আট দলের বিভাগীয় সর্বশেষ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, এখন যখন জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তি বিতাড়িত হয়েছে, তখন বাংলাদেশবিরোধী বিদেশি আধিপত্যবাদী আরেক শক্তি দেশের ঘাড়ে চেপে বসার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতিহাস সৃষ্টির এক নতুন দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা বলতে চাই-ফ্যাসিবাদের আমলে ১৫ বছর ধরে রাষ্ট্রযন্ত্রের নিপীড়ন, নির্যাতন, জুলুম ও দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন এ দেশের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা।

আরও পড়ুন : ফ্যাসিস্টরা পালালেও ফ্যাসিজমের কালো ছায়া দেশ থেকে যায়নি

তিনি বলেন, বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তির বাংলাদেশি দোসরদের হাতে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা নিগৃহীত হয়েছেন। কারাবন্দি হয়েছেন, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন। এরপরও তারা অন্যায়ের সামনে, জুলুমের সামনে মাথা নত করেননি।

তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই- জীবন দিয়ে জুলাই যোদ্ধারা বাংলার মাটি থেকে ফ্যাসিবাদীদের উৎখাত করেছেন। বাংলার মাটিতে নতুন কোনো ফ্যাসিবাদকে জায়গা দিতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা যারা করবেন, তাদের রাজপথে প্রতিহত করতে হবে উল্লেখ করে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, পরাজিত ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করে যদি কেউ আগামী দিনে জুলাই সনদের বিরুদ্ধে না-বাক্সের জন্য প্রচারণা চালায়, বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

আরও পড়ুন : নির্বাচন পেছানোর জন্য ওরা পাগল হয়ে গেছে : চরমোনাই পীর

আগামীর বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী জনগণ ও ইসলামী রাজনীতিকে রুখে দেওয়ার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে যাদের ওপর ভর করা হয়েছে, তাদের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই- নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা পুনর্বিবেচনা করুন। এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না, ইনশাআল্লাহ। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশ হবে মেহনতি মানুষের বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশ হবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার ন্যায়সংগত অধিকার আদায়ের বাংলাদেশ।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শুধু প্রতীকের নির্বাচন নয়। এটি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি ঐতিহাসিক গণভোটেরও নির্বাচন। তাই আট দলের নেতাকর্মীদের প্রতি ঘরে ঘরে গিয়ে, জনে জনে দলীয় প্রতীকের প্রচারের পাশাপাশি জনগণকে হ্যাঁ বাক্সে হ্যাঁ ব্যালট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ