সীমান্তে দুই বাংলাদেশি হত্যা

বিএসএফকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করার দাবি

আপ বাংলাদেশের প্রতিবাদ সভা
আপ বাংলাদেশের প্রতিবাদ সভা  © সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও জেলা সীমান্তে দুই বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানিয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর প্রধান সংগঠক নাঈম আহমাদ।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর জামান টাওয়ারে অবস্থিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশিকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

নাঈম আহমাদ বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানকে এখনো মেনে নিতে পারছে না দিল্লি। তাই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তারা সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে। দিল্লিকে অবিলম্বে এই পথ পরিত্যাগ করতে হবে এবং ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্মানজনক ও আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলায় আন্তরিক হতে হবে।’

পাশাপাশি প্রতিবার সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে বাংলাদেশ কোন প্রেক্ষিতে সন্তোষ প্রকাশ করে—তা জানতে চান তিনি। তিনি পতাকা বৈঠকগুলোর আলোচ্য বিষয় জনসাধারণের কাছে উন্মুক্ত করারও দাবি জানান।

প্রতিবাদ সভায় যুগ্ম প্রধান সংগঠক আবরার হামীম বলেন, ‘দিল্লির সঙ্গে সমতার সম্পর্ক গড়ে তুলতে আমাদের সীমান্তে সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
যুগ্ম প্রধান সংগঠক আহসান উল্লাহ বলেন, “দিল্লির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং সরকারকে সমতার মর্যাদা অর্জনে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদুল ইসলাম, আসাদুল্লাহ গালিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক জসিম উদ্দীন, সদস্য সচিব কাজী সালমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব মুতাসিম মুনিব, যাত্রাবাড়ী থানার সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফাহিম, যুগ্ম সদস্য সচিব নাইমুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠক আহনাফ আতিফ এবং ঢাকা কলেজের সংগঠক সালমান শরীফ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ