বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে ভারতে মুখোমুখি বিজেপি-কংগ্রেস
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৩ PM
আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জে কংগ্রেসের এক জনসভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা’ গান পরিবেশনের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপি ও কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে মুখর।
বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, কংগ্রেস ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি’ করছে। দলের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, ‘কংগ্রেস ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এই ঘটনা তাদের বাংলাদেশপ্রীতির প্রমাণ।’ তিনি দাবি করেন, ‘যে দেশ ভারত বিভক্তির কথা বলে, কংগ্রেস আজ সেই দেশকেই সমর্থন করছে।’
আরও পড়ুন: ‘জবাবদিহির আওতায় আসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা’
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘটনাটিকে ‘ভারতের জনগণের প্রতি অসম্মান’ হিসেবে অভিহিত করে পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তার মতে, এই ঘটনা বাংলাদেশের কিছু নাগরিকের ‘উত্তর-পূর্ব ভারত বাংলাদেশের অংশ হওয়া উচিত’— এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিঙ্ঘল সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে অভিযোগ করেছেন, ‘কংগ্রেস বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠনের চেষ্টায় লিপ্ত।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ভোটের স্বার্থে আসামের জনবিন্যাস পরিবর্তনের জন্য অনুপ্রবেশে সাহায্য করেছে কংগ্রেস।’
তবে কংগ্রেস এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। দলের এমপি গৌরব গগৈ বলেছেন, ‘আমার সোনার বাংলা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টি এবং এটি বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি সবসময় বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে অপমান করে। তাদের আইটি সেল নিয়মিত বাংলার মানুষকে হেয় করে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ভর্তির জন্য একদিনে কত আবেদন পড়ল?
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা তাপস পুরকায়স্থের বক্তব্য, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করা লজ্জাজনক। এই গানের সমালোচনা মানেই কবিগুরুকে অপমান করা।’
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্রও এই বিতর্কে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ১৯০৫ সালে ব্রিটিশদের বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ‘আমার সোনার বাংলা’ লিখেছিলেন। পরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর গানটির প্রথম দশ লাইন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।