যুক্তরাষ্ট্রের মাথায় ৩৭ লাখ কোটি ডলারের ঋণের বোঝা

মার্কিন ডলার
মার্কিন ডলার  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মোট জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৭ লাখ কোটি ডলার ছাড়়িয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। ‘কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও)’ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অনুমান করেছিল যে ২০৩০ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রের মোট ফেডারেল ঋণ ৩৭ লাখ কোটি ডলার পেরোবে না। কিন্তু তার অনেক আগেই সেই ঋণের বোঝা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চেপে বসেছে। খবর আনন্দবাজার

প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ে ঋণের বোঝা চাপছে খুব দ্রুতগতিতে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ঋণ ছিল ৩৪ লাখ কোটি ডলারের। জুলাই মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৩৫ লাখ কোটি ডলার। নভেম্বরে বেড়ে তা হয় ৩৬ লাখ কোটি। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী, প্রতি পাঁচ মাসে এক লাখ কোটি করে ঋণের বোঝা চেপেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর এত পরিমাণ ঋণের বোঝা কখনো চাপেনি। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালেন্স শিটে ঋণের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি এবং করদাতাদের ওপর ব্যয়ের চাপ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড অতিমারির সময় নজিরহীন সরকারি ঋণ এবং সাম্প্রতিক ব্যয় ব্যবস্থার কারণেই এই বিশাল ঋণ পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আরও পড়ুন: শেখ মুজিব হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর, শোক জানিয়ে যা বললেন তারকারা

২০২০ সালে শুরু হওয়া অতিমারি, ট্রাম্প ও বাইডেন—উভয় প্রশাসনকেই অর্থনীতিকে চাঙা করতে কোটি কোটি ডলার জরুরি ত্রাণ অনুমোদন করতে বাধ্য করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ গ্রহণের এই ঢেউ ২০২৪ সাল পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এ বছরের শুরুতে বিতর্কিত ‘বড় ও সুন্দর’ বিলে সই করে তা আইনে পরিণত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই আইনের মাধ্যমে মার্কিন সরকার খরচে বিপুল কাটছাঁট করেছে। ‘কর এবং খরচ কাটছাঁটের আইন’-এ বদলেছে দেশের অভ্যন্তরীণ কর ব্যবস্থাও। তবে ওই বিলের কারণে আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আরও ৪ দশমিক ১ লাখ কোটি ডলারের ঋণ চাপবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

এ প্রসঙ্গে এক গবেষকের বলেন, ‘আইনটি নিশ্চিত করেছে যে আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে অনেক ঋণ নেব। ২০২৭ সালের মধ্যে আমরা আরও ঋণ নেব এবং এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকবে।’’

রাজস্ব বিশেষজ্ঞেরাও সতর্ক করেছেন যে, এর ফল সুদূরপ্রসারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ সতর্ক করেছেন যে, বেশি ঋণের বোঝা চাপলে তা সুদের হার বাড়ায়, পরিবার এবং ব্যবসার জন্য ব্যয় বৃদ্ধি করে এবং মূল সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence