সহাবস্থান আসলে কী

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসাইন  © সংগৃহীত

চলমান ট্রান্সজেন্ডার বিতর্কে গভীর কোনো হোমওয়ার্ক ছাড়াই কেউ কেউ সহাবস্থানের কথা তুলেছেন। এই বিষয়টা স্পষ্ট হওয়ার জরুরি। ব্যক্তিগত পর্যায়ে বেডরুমে কে কি করছেন তা সমাজ বা রাষ্ট্রের বিষয় নয়। অনেকেই গোপনে অনেক কিছু করেন। এটা নিয়ে আমারও মাথা ব্যথা নেই।

কিন্তু যখন ব্যক্তিগত বিকৃত রুচিকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়া হয় তখন আসল সমস্যা শুরু হয়।

এমন একটি মতবাদ তারা কায়েম করতে চাচ্ছেন যার ভিত্তি হচ্ছে আইনগত স্বীকৃতি। এই মতবাদ অনুযায়ী বিয়ের সংজ্ঞা পাল্টাতে হবে, পাল্টাতে হবে পিতামাতার সংজ্ঞাও। শুধু তাই নয় সবকিছু লিঙ্গ নিরপেক্ষও হতে হবে। পুরো পৃথিবীর হাজার হাজার বছরের সিস্টেম বদলাতে হবে।

ছেলে বা মেয়ে হিসেবে তাদের অধিকার তো আছেই। কিন্তু তারা এখন অতিরিক্ত অধিকার দাবি করছে। ৯৯% মানুষের অধিকারহরণকে ১% লোককে খুশী করতে গ্লোবাল অ্যাজেন্ডা কাজ করছে এই যুক্তিতে যে, যদি এটা না করা হয় তবে তারা সুইসাইড করতে পারে। তাই এই মানুষগুলোকে বাঁচানো হচ্ছে লিবারেল নৈতিকতার মূল স্তম্ভ।

এই মতবাদ অধিকার হিসেবে আইনত স্বীকৃতি পেলে অজাচার, পশু-কামিতাসহ সব অশ্লীল রুচিত আইনি ভিত্তি পেয়ে যাবে। যে অজাচার পৃথিবীর সব দেশ এবং কালচারে নিষিদ্ধ ছিল, সেটাকে এখন ২০+ লিগ্যাল করা হয়েছে (ডি-ক্রিমিনালাইজেশন)।

জার্মানীর মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি এথিক্স কমিটি রায় দিয়েছে, অজাচার হচ্ছে লিবারেল। ওয়ার্ল্ড ভিউ অনুযায়ী এটা মৌলিক অধিকার। এখন চিন্তা করার বিষয় এই সহাবস্থান ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের জন্য স্যাস্টেইন্যাবল কিনা?

লেখক: শিক্ষক ও গবেষক


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence